স্মার্ট প্লাস্টিক – নরম আর নমনীয়

স্মার্ট প্লাস্টিক – নরম আর নমনীয়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ অক্টোবর, ২০২২

কৃত্রিম পদার্থে জীবন্ত ত্বক আর পেশির মতো বৈশিষ্ট্য থাকত? যা সহজেই নমনীয় অথচ বেশ টেকসই। এমন সিনথেটিক পদার্থের সন্ধান বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছেন। কিন্তু বিভিন্ন সিনথেটিক পদার্থ জুড়ে জুড়ে প্রাণীদেহের সহজাত বৈশিষ্ট্যকে নকল করার প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবার সাফল্যের মুখ দেখলেন অ্যামেরিকার অস্টিনে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
গবেষণাপত্রটা প্রকাশ পেল সায়েন্স পত্রিকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক জাকারিয়া পেজ বলছেন, এই ধরণের পদার্থ সর্বপ্রথম তৈরি হল। ক্রিস্টাল গঠন হওয়ার ধাপগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেই পদার্থটার ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলো ঠিক করা গেছে আলোকরশ্মির প্রয়োগে।
পদ্ধতিটা কেমন? প্রথমে মোনোমার নেওয়া হয়েছিল। এই ছোট্ট অণুই একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে পলিমার তৈরি করে, যা কিনা সাধারণ প্লাস্টিকের গঠনগত উপাদান। এক ডজন অনুঘটকের সাথে ঐ মোনোমারকে বিক্রিয়া করিয়ে দেখা হয়। তারপর একটামাত্র অনুঘটক নির্বাচন করে আলোর উপস্থিতিতে আবার বিক্রিয়া ঘটানো হয়। সেখান থেকেই সেমি-ক্রিস্টাল পলিমার সৃষ্টি হল। পলিমারের যে অংশে আলো স্পর্শ করেছে সেখানে শক্ত আর দৃঢ় পদার্থ গঠিত হয়েছে। তাজ্জব ব্যাপার এই যে, ঐ পলিমারের যে অংশে আলো পড়েনি সেখানেই নতুন এক নরম আর নমনীয় পদার্থের জন্ম হয়েছে।
নতুন এই পদার্থ রোবটিক্স অথবা ইলেক্ট্রনিক্সের অনেক শাখায় নব নব উদ্ভাবনে সঙ্গী হবে বলেই মতামত সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের। গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের হেনরি কেটার, কেলডি ম্যাসন, মার্শাল অ্যালেন, বেনি ফ্রিম্যান আর অ্যান্থনি অ্যারোউড।