৩২০০ ফিথন, এই গ্রহাণু থেকে নির্গত আলোর তারতম্য ঘটছে বারবার। বলাই বাহুল্য আরও দ্রুত বেগে নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘুরছে মহাকাশের অদ্ভুত এই পাথুরে বস্তু। এমনকি প্রতি বছর ৪ মিলিসেকেন্ড হারে কমছে ঐ গ্রহাণুর ঘূর্ণনকাল। কিন্তু গ্রহাণুর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। তাতেই হতবাক বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীর জন্যে যদিও কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ৫.৮ কিলোমিটার ব্যাসের গ্রহাণু যেখানেই আছড়ে পড়ুক, সংঘর্ষের তীব্রতা মোটেই ছোটখাটো হবে না। অস্বাভাবিকভাবে এটার রঙ নীল, যেখানে বেশিরভাগ গ্রহাণুর রঙ লালচে বা ধূসর হয়।
যতই ঘুরছে ফিথন ততই পাল্টে যাচ্ছে ঔজ্জ্বল্য। এটা থেকে গবেষকরা গ্রহাণুর ঘূর্ণনকাল নির্ণয় করতে পারেন। পুয়ের্তো রিকোর আরেকিবো অবজারভেটরির বিজ্ঞানী সিন মার্শাল বলছেন, ফিথনের আকার আকৃতি আর ঘোরার নকশা খুঁজতে গিয়ে আজব ব্যাপার ধরা পড়েছে। অ্যামেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ৫৪তম সভায় সিন মার্শাল আর ওনার দল একটা প্রতিবেদন সামনে এনেছিল এ বিষয়ে।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০২১ অবধি সম্পূর্ণ তথ্যভাণ্ডার নেড়েঘেঁটে দেখা যাচ্ছে ঐ অদ্ভুত বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে কয়েকটা আলাদা তত্ত্বের সাহায্যে। একটা হল, গ্রহাণুটার ঘোরার গতি ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। কয়েক বছরের নিরিখে ব্যাপারটা ক্ষীণ হলেও, কয়েক দশকের সময়কালে আরও স্পষ্ট হবে কোথায় রহস্যটা। আরেকটা ধারণা হল, অন্য কোনও বড়ো নক্ষত্রের তাপের প্রভাবে ঘূর্ণনের হার বাড়ছে ঐ গ্রহাণুর। যাকে মহাকাশবিজ্ঞানের পরিভাষায় ইয়ার্কোভস্কি-ও’কিফ-র্যাডজিভস্কি-প্যাডক প্রভাব বা সংক্ষেপে ইয়র্প প্রভাব বলা হয়।