আবার শীর্ষে ফিরে আসছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘাতক সংক্রমণ

আবার শীর্ষে ফিরে আসছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘাতক সংক্রমণ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৪ অক্টোবর, ২০২২

কোভিড-১৯ রুখতে দুনিয়া জুড়ে যখন ব্যাপক সব কর্মকাণ্ড চলছে, তখনই আবার শীর্ষে ফিরে এলো টিউবারকিউলেসিস বা সংক্ষেপে টিবি। করোনা অতিমারির পাহাড়প্রমাণ চাপে যক্ষ্মা দূরীকরণের উদ্যোগ অনেকটাই পিছনে পড়ে গিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক নন-প্রফিট টিবি অ্যালায়েন্সের সভাপতি মেল স্পাইজেলম্যান। তাঁর মতে কোভিডের পরীক্ষা, চিকিৎসা পরিকাঠামোর পরিবর্তন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার, টিকা অভিযান সব মিলিয়ে গত দু বছরে যে ব্যস্ততার আবহ ছিল, সেই ফাঁকেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে যক্ষ্মার বিপদ।
টিউবারকিউলেসিস মোকাবিলায় যাবতীয় কর্মসূচির উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে এই চলতি অতিমারি। টিবি হাসপাতালগুলো কোভিড কেয়ার ইউনিট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া লকডাউনের মধ্যে টিবি পরীক্ষা আর চিকিৎসা করাতে রোগীরা আসতে পারেন নি। স্বভাবতই এক দশকের মধ্যে এই প্রথম যক্ষ্মায় বার্ষিক মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ড্যাশবোর্ড বলছে, গত ২৮ দিনে ৪০,৫৭৮ জনের প্রাণ গেছে যক্ষ্মায়।
স্পাইজেলম্যান কিন্তু বিভিন্ন দেশেই প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন সচেতনতার অভাবের জন্যে। তৎপরতার যে ছিল না অনেক দেশের সরকারেরই, তা নিয়েও দুষছেন উনি। স্পাইজেলম্যান হতাশার সুরে জানিয়েছেন, যক্ষ্মা গরীবের রোগ। যদি পৃথিবী জুড়ে বড়োলোকেরাও এই রোগে আক্রান্ত হত, তাহলে প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাব অবশ্যই থাকত না। অনুদানের অভাবে টিবি-র বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন অভিযানেও ভাঁটা পড়েছে অনেকটাই। সহজ কোনও পদ্ধতিতে রোগনির্ণয়ের ব্যবস্থাও নেই, যেমনটা কোভিডের ক্ষেত্রে আছে।
প্রতিবেদনটা বেরিয়েছে এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসে।