কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন নতুন অনেক প্রকরণই নাকি ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে সারা অস্ট্রেলিয়া জুড়ে। সংক্রমণের ঘটনা বাড়বে চলতি বছরের শেষ দিকে, এমন আশঙ্কাতেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঐ দেশের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো।
হসপিটাল, হেলথ কেয়ার ইউনিট, বয়স্ক আর অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুবিধের নিয়মকানুন এখনও বলবৎ আছে অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু এর আগে পজিটিভ কেসের জন্য নিভৃতবাসের মেয়াদ ছিল ৫দিন, সেটা তুলে নেওয়া হয়েছিল কিছু সপ্তাহ আগেই। এবার নতুন করে বিপদের পূর্বাভাসে নড়েচড়ে বসেছে ও দেশের সরকার।
এমনিতেই ওমিক্রনের নতুন প্রকরণের খবর আসতে শুরু করেছে সারা পৃথিবী থেকেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে তেমন একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না সেসব। ডোহার্টি ইন্সটিটিউটের তরফ থেকে ডঃ অ্যাশ পোর্টার কসমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই হয়তো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছেন সংক্রমণও।
ওমিক্রন BA.5 অ্যামেরিকার কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ৭০% দায়ী। গত ১৫ই অক্টোবর অবধি এক সপ্তাহ ধরে তেমনই হিসেব অন্তত। কিন্তু পরের দু সপ্তাহের মধ্যেই সেটা কমে ৫০% এর নিচে চলে এসেছে। সেই জায়গায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে BQ.1 আর BQ1.1 এই দুই ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ। ১০জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে এখন ৩জন ঐ দুই ভ্যারিয়েন্টের শিকার।