মঙ্গলের উপগ্রহের খুব কাছ দিয়ে কেন উড়ে গেল মহাকাশযান?

মঙ্গলের উপগ্রহের খুব কাছ দিয়ে কেন উড়ে গেল মহাকাশযান?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ নভেম্বর, ২০২২

মঙ্গলের দুটো উপগ্রহ। ফোবোস আর ডেইমোস। কিন্তু তাদের জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে মহাকাশবিজ্ঞানীদের মধ্যে। সেই রহস্যের জাল কাটতেই উপগ্রহে উঁকিঝুঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো এক মহাকাশযান। লক্ষ্য ছিল উপগ্রহের মাটির নীচে ঠিক কী আছে সেটা বোঝা।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিজ্ঞানী কলিন উইলসন বলছেন, মঙ্গলের উপগ্রহদুটো কি ক্যাপচার করা গ্রহাণু? নাকি মঙ্গলের পদার্থ খসে পড়ে তাদের সৃষ্টি হয়েছে? এ প্রশ্ন বহুদিনের হলেও এখনও সদুত্তর মেলেনি। উইলসন আরও বলছেন, ফোবোস আর ডেমিওসের গঠন অনেকটাই গ্রহাণুদের মতো। কিন্তু যেভাবে তারা মঙ্গলগ্রহকে প্রদক্ষিণ করে তাতে আবার অন্যকিছু মনে হয়।
গ্রিক পুরাণে আতঙ্ক আর ভয়ের দেবতার নামের একটা উপগ্রহের নাম ফোবোস। দুটো উপগ্রহের মধ্যে এটাই আকারে বড়ো। ব্যাস ২২.২ কিলোমিটারের। মঙ্গলগ্রহকে কেন্দ্রে রেখে গড়ে ৬০০০ কিলোমিটার দূরত্বে থেকে প্রদক্ষিণ করে ফোবোস।
আবার গ্রিক পুরাণে হিংসা আর অনাচারের দেবতা ডেইমোস। সেই নামেই আকারে ছোট উপগ্রহের পরিচয়। এটার ব্যাস মাত্র ১২.৬ কিলোমিটার। কিন্তু কক্ষপথের গড় দূরত্ব মঙ্গলগ্রহ থেকে ২০,০০০ কিলোমিটার।
কিন্তু উৎস সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পেতে হলে দুই উপগ্রহের কাছাকাছি গিয়ে তাদের মাটির গঠন, তাপমাত্রা আর রাসায়নিকের উপস্থিতির ব্যাপারে প্রথমে নিশ্চিত হওয়া দরকার। সেই উদ্দেশ্যেই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি তাদের মার্স এক্সপ্রেস অরবিটার প্রেরণ করেছে। সম্প্রতি ফোবোসের ৮৩ কিলোমিটার দূর দিয়ে এই শঙ্কু আকৃতির মহাকাশযান উড়ে গেছে। তথ্য পেতে আরও কিছু সময় বাকি বলেই জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।