ইউনাইটেড নেশনস ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স বা সংক্ষেপে কোপ২৭। পরের সপ্তাহে মিশরে শুরু হতে চলেছে তাদের ২৭তম বৈঠক।
কিন্তু এই বৈঠকে বড়ো ঘোষণা বা জাঁদরেল কোনও চুক্তির সম্ভাবনা নেই এই বছর। পরিবর্তে এ বছরের সম্মেলনকে বলা হচ্ছে বাস্তবায়নের বৈঠক। কোপ২৬ অর্থাৎ এর ঠিক আগের সভায় সভ্যসদস্যদের মধ্যে গ্লাসগো ক্লাইমেট প্যাক্ট নিয়ে বেশ খানিকটা দরকষাকষি হয়েছিল। প্যারিস রুলবুক অনুযায়ী কীভাবে সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হবে সেগুলো নিয়েই এ বছরের বৈঠক।
গ্লাসগো সম্মেলনের তুলনায় এ বছর উৎসাহ আর প্রচার দুটোই খুব কম। ন্যাশানালি ডিটারমাইন্ড কমিটমেন্টস বা সংক্ষেপে এনডিসি নিয়েও প্রায় প্রতিটা দেশই নিরুত্তর। কার্বন নিঃসরণ কমানোর এই প্রতিশ্রুতিতে কোনও দেশই বিশেষ সাড়াশব্দ করছে না। সেই কারণেই খানিকটা নিষ্প্রভ এবারের মিশরের বৈঠক। এখনও অবধি মাত্র ২৭টা দেশ তাদের নিজের নিজের এনডিসি নতুন করে পেশ করেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া আর ব্রাজিল অন্যতম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের মতো নিরপেক্ষ সংস্থাও বলছে, এই দুটো দেশের প্রতিশ্রুতিও যথেষ্ট নয়।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক হাউডেন বলছেন, এ বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কীভাবে চুক্তি আর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়া যাবে সেই পদ্ধতির অনুসন্ধান। এছাড়াও ইউরোপ বা পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, ফিলিপিন্সে বড়ো ঘূর্ণিঝড় কিংবা চীনে তাপপ্রবাহের মতো বিভিন্ন অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত নিয়ে অবশ্যই আলোচনার অবকাশ থাকবে।