ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো যৌথভাবে একটি মডিউলার, স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিভাইস তৈরি করেছে। যার কাজ (মাইক্রো-অরগ্যানিজম) অণুবীজ নিয়ে চর্চা করা! এই চর্চার সুবিধে কী হবে? সুবিধা এই, মহাকাশেও যাতে রসায়নবিদরা বা জীববিজ্ঞানীরা নানাধরণের জৈবিক পরীক্ষা, গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন। গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই যন্ত্রটির সহায়তায় দেখতে চান, মহাকাশেও ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি হয় কি না, আর হলে কতটা হয়। ডিভাইসটিতে একটি এলইডি আলোও লাগানো হয়েছে। ডিভাইসটিতে বিভিন্নরকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলাদা খোপও তৈরি করা হয়েছে, ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাখা হয়েছে স্পেকট্রোমিটার। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে গবেষকরা দেখেছেন ডিভাইসের মধ্যেও জীবাণুর বৃদ্ধি হয়, রডের মত লম্বা আকৃতি ধারণ করে, ঠিক স্বাভাবিক পরিবেশে যেভাবে বৃদ্ধি হয় সেরকম। ডিভাইসটির ফ্লাইট-মডেল তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অজৈবিক পরীক্ষানিরীক্ষাও হতে পারে এই ডিভাইসে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, এই ডিভাইস তৈরি করার আসল উদ্দেশ্য ভারতীয় গবেষকদের সামনে একটা মডেল-প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা নিজেরাই পারেন নিজেদের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।