আর্টেমিস-১ নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। তবুও আশাবাদী নাসা। আগামী ১৪ই নভেম্বর থেকে আবার লঞ্চ উইন্ডো বা উৎক্ষেপণের জন্য মেয়াদ শুরু হবে। নাসার বিজ্ঞানীরা তাই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন।
ঐ সুনির্দিষ্ট উৎক্ষেপণ মেয়াদ মার্কিন সময় অনুযায়ী ১৪ই নভেম্বর রাত ১২টা বেজে ৭মিনিটে শুরু হয়ে ৬৯ মিনিট স্থায়ী হবে। একইভাবে ১৬ তারিখে রাত ১টা বেজে ৪ মিনিটে অথবা ১৯শে নভেম্বর রাত ১.৪৫-য়েও করা যেতে পারে আর্টেমিসের উৎক্ষেপণ।
আগামী দশকে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের। কিন্তু প্রথমবারের এই অভিযান মনুষ্যবিহীন। নিউ ওরিয়ন নামের মহাকাশযানকে চাঁদের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ছেড়ে আসাটাই এই প্রথম উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য।
কিন্তু শুরু থেকেই বিঘ্নের মুখে পড়েছে এই অভিযান। বারেবারেই পিছিয়ে গিয়েছে আর্টেমিসের উড়ান। প্রথমে, ইঞ্জিনে কুলিং বা শীতলীকরণের সমস্যা হয়েছিল স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটে। তারপর, জ্বালানী ভরায় সমস্যা সৃষ্টি হল শেষবার। বিপত্তি তৈরি করেছে হ্যারিকেন ইয়ান। ফ্লোরিডা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ে গ্যারাজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আর্টেমিসকে।
এতবার ব্যর্থতার পরেও কিন্তু নাসার সহকারী প্রশাসক জেমস ফ্রি আশা করছেন নভেম্বরের মাঝামাঝিই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে মহাকাশে ছুটে যাবে আর্টেমিস। ওনার ঘোষণা, আজই লঞ্চপ্যাড ফিরিয়ে আনা হচ্ছে নির্দিষ্ট স্থানে। সংস্থার সব কর্মীই বেশ সদর্থক চিন্তাই করছে উৎক্ষেপণের ব্যাপারে। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী না হলে ফের কাউন্টডাউন শুরু হত না।