পুরনো অ্যাজটেক সভ্যতার রাজধানী চাপা দিলেন প্রত্নবিশারদরা

পুরনো অ্যাজটেক সভ্যতার রাজধানী চাপা দিলেন প্রত্নবিশারদরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১০ নভেম্বর, ২০২২

অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনাপরম্পরায় চাপা পড়ে গেল পুরনো সভ্যতার মিনার স্তাপত্য। মেক্সিকো সিটি থেকে অনতিদূরে। অনির্দিষ্টকালের জন্যে মাটির নীচে ফের মুখ গুঁজে পড়ে রইবে এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আবিষ্কার।
একটা সুড়ঙ্গ – অ্যালবারাডন ডে এক্যাটেপেক নামের এক স্থাপত্যের অংশ। বন্যা-নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে যেটা বানানো হয়েছিল ইতিহাসে হারিয়ে যাওয়া শহর টেনোচটিটলানে। একটা বড়ো পরিখা, সুউচ্চ দেওয়াল আর জল নির্গমনের জন্যে ছোট ছোট অনেকগুলো খাল – এই নিয়ে বেশ অত্যাধুনিক এক বন্দোবস্ত।
অনেক শতাব্দী পেরিয়ে গিয়েছিল তারপরে। ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যানথ্রপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রির গবেষকরা মাটি খুঁড়ে সেটা আবিষ্কার করেন। ২০১৯ সালে একটা সুড়ঙ্গও খুঁজে পাওয়া যায় নতুন করে। ছোট ঐ টানেলের দরজাটা ৮.৪ মিটার। সুবৃহৎ অ্যালবারাডন ডে এক্যাটেপেকের একটা সামান্য অংশ সেটা। মূল স্থাপত্যটা মোট ৪ কিলোমিটার লম্বা। হাজার হাজার স্থানীয় কর্মীদের পরিশ্রমে সেটা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু কিছুদিন আগেই ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ অ্যানথ্রপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি-র তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, আর্থিক অনুদানের অভাবে প্রদর্শনী নির্মাণে আর প্রাচীন মিনারের রক্ষণাবেক্ষণে প্রবল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তারপর থেকে ফের ঢেকে ফেলা হয় সুড়ঙ্গের অংশটা। যাতে বাড়তি কোনও ক্ষয়ক্ষতি আর না হয় ঐ স্থাপত্যের।
গবেষকদের দাবী, মেক্সিকোতে করোনা অতিমারির সময়ে যে বিপুল অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছিল সেই কারণেই এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐ দেশের সরকার।