কোপ২৭ জলবায়ু সম্মেলন চলছে মিশরে। শুক্রবার বিজ্ঞানীরা জানালেন পরিচিত বিপদের কথা। ২০২২ সালের শেষে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যাবে ১%। মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের হিসেব এটাই।
তেল পুড়িয়ে কার্বন দূষণের মাত্রা বাড়তে চলেছে ২% গত বছরের তুলনায়। আবার, কয়লা পোড়ানোর ফলে দূষণের মাত্রা ২০১৪ সালে মনে করা হয়েছিল শীর্ষে পৌঁছেছে। কিন্তু সেটাই চলতি বছরের শেষদিকে রেকর্ড স্পর্শ করবে বলেই অভিমত পরিবেশবিজ্ঞানীদের।
নরওয়ের ক্লাইমেট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অধিকর্তা গ্লেন পিটার্স বলছেন, কোভিড অতিমারির কারণে যেখানে তেলের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জন্যে কয়লা আর গ্যাসের চাহিদা উর্দ্ধমুখী। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের কোনও উপায় সামনে চোখে পড়ছে না।
সমস্ত উৎস থেকে হিসেব করলে সারা পৃথিবী জুড়ে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণটা দাঁড়াবে ৪০.৬ বিলিয়ন টনে। ২০১৯-এর রেকর্ড মাত্রার চেয়ে বেশ কিছুটা উপরে। প্রতিবেদনের মুখ্য লেখক পিটার্স বলছেন, বিষয়টা মারাত্মক উদ্বেগের।
উনি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তির নির্ধারিত মাত্রার চাইতে সেটা ৫% বেশি। আমাদের নিজেদেরই জিজ্ঞেস করা উচিৎ, কখন কমবে কার্বনের মাত্রা?