কোভিডের নতুন ঢেউ গ্রাস করেছে গোটা অস্ট্রেলিয়া দেশটাকেই। এই সপ্তাহে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাটা ৯০০০০ স্পর্শ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরের সপ্তাহেই কমতে শুরু করবে এটা।
বোঝাই যাচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফটা ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। উদ্বেগের জায়গা কেবল কুইন্সল্যান্ড প্রদেশটা। এই রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যাটা গত সপ্তাহের চেয়ে বেশিই কিছুটা।
যদিও গবেষকরা মনে করছেন আক্রান্ত মানুষের আসল সংখ্যাটা সরকারি তথ্যের চেয়ে চারগুণ বেশি। কারণ উপসর্গ দেখা দেওয়া সত্ত্বেও খুব কম মানুষ পরীক্ষা করিয়েছেন। আর গোটা বিশ্ব জুড়েই অতিমারির তৃতীয় বছরে এসে একটা গাছাড়া মনোভাব তো রয়েইছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিশেষজ্ঞ ডঃ জেমস উড অনুমান করছেন অন্যকিছু। নিউ সাউথ ওয়েলস অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ। এখানে কোভিড সংক্রমণ চুড়োতে উঠতে পারে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। ডঃ উড সিঙ্গাপুরে মারাত্মক XBB.1 নামক ভ্যারিয়েন্টের উল্লেখ করলেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বারবার উপেক্ষা করে ভাইরাসের এই জেদি প্রকরণ ঘুরে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একেবারে নিচের দিককার অঞ্চলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজে থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার দরকার নেই। কিছু নির্দিষ্ট সরকারি চিকিৎসালয়ে পিসিআর টেস্ট করালেই চলবে।