অতিভারী ব্ল্যাকহোল দেখার নতুন উপায় বাতলে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

অতিভারী ব্ল্যাকহোল দেখার নতুন উপায় বাতলে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২ ডিসেম্বর, ২০২২

আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ঠিক কেন্দ্র যেখানে, সেখানেই পৃথিবী থেকে নিকটতম অতিভারী ব্ল্যাকহোল রয়েছে। তাকে চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে মহাকাশবিজ্ঞানীদের পক্ষে। কিন্তু দ্বিতীয়টা কে?
পৃথিবী থেকে দূরত্বের নিরিখে দু নম্বর জায়গায় আছে লিও-১। আমাদের প্রতিবেশী একটা বামন ছায়াপথের মাঝখানটাতে এই অতিভারি কৃষ্ণগহ্বরের অবস্থান। পৃথিবী থেকে দূরত্ব ৮২০০০০ আলোকবর্ষ। সহজভাবে বললে আমাদের গ্রহ থেকে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ব্যবধান যতটা, তার চাইতে ৩০গুণ বেশি।
অতিভারি হওয়া সত্ত্বেও এই ব্ল্যাকহোলগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। সবচেয়ে উন্নত টেলিস্কোপও হার মানতে বাধ্য হয়। এই বছরে প্রথমবারের জন্য ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে আমাদের গ্যালাক্সির মাঝখানে থাকা ব্ল্যাকহোলটা। যেকোনো কৃষ্ণগহ্বরকে দেখতে পাওয়া অথবা তার প্রবল অভিকর্ষের প্রভাব চাক্ষুষ করা প্রায়-অসম্ভব একটা কাজ।
নতুন একটা পদ্ধতির কথা বলছেন হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ানের অন্তর্গত সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা। মুখ্য গবেষক ডঃ ফ্যাবিও পাকুচ্চি বলছেন, ব্ল্যাকহোল কিন্তু ধাঁধার জিনিস – লুকোচুরি খেলতে তারা ভালোবাসে। কোনও আলোকরশ্মিই ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হরাইজেন থেকে পালাতে পারে না। কিন্তু কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশটা কিন্তু খুবই উজ্জ্বল। যদি সেটা ধীরে ধীরে ভর সঞ্চয় না করে তাহলে আলো বিকিরণ করতেও পারবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের উচ্চতম মানের টেলিস্কোপেও ধরা পড়বে না ব্ল্যাকহোল।