কোনটা বেশি ক্লান্তিকর – বালিতে হাঁটা নাকি রাস্তায় হাঁটা?

কোনটা বেশি ক্লান্তিকর – বালিতে হাঁটা নাকি রাস্তায় হাঁটা?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২ ডিসেম্বর, ২০২২

যারা সমুদ্রের ধারে হাঁটতে বেরোন, তাদের জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসবে বালিতে হাঁটার পর বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে মানুষ। কিন্তু কোনও শক্ত জায়গার উপর দিয়ে একই দূরত্ব অতিক্রম করতে অতটা কসরতের দরকার পড়ে না।
এতদিন ধরে, মানুষের হাঁটা নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে সেগুলো সবই শক্ত জায়গার উপরে। অর্থাৎ, বালির মতো আলগা জমির উপরে মানুষের হাঁটাচলার ব্যাপারটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের স্বচ্ছ ধারনা নেই।
কিন্তু রয়্যাল সোসাইটির ইন্টারফেস জার্নালে সম্প্রতি একটা গবেষণাপত্র বেরিয়েছে। তা থেকে বিভিন্ন জায়গার উপর দিয়ে হাঁটার সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্যরাশি প্রকাশ করা হয়েছে। সৌজন্যে, ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ৩০জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবককে তিনটে আলাদা জমির (সারফেস) উপর দিয়ে হেঁটে যেতে বলা হয়। একটা ছিল কঠিন সারফেস, একটা পাতলা ফোমের আর একটা পুরু ফোমের সারফেস। প্রত্যেকটার উপর ৭মিনিট করে হাঁটতে বলা হয় তাদের। এই সময়ে তাদের চলনভঙ্গি, কতটা অক্সিজেন শরীরে ঢুকছে, পায়ের পাতার নিচে কতটা চাপ পড়ছে এগুলো মেপে নিয়েছিলেন গবেষকরা।
তারপর প্রাপ্ত তথ্য থেকে একটা কম্পিউটার সিমুলেশন তৈরি করে দেখানো হয় প্রতিটা সারফেসে কীভাবে পাল্টে যায় মানুষের হাঁটার খুঁটিনাটি। ওনারা বলছেন, নরম সারফেসে হাঁটার সময় পশ্চাদ্দেশের পেশি আর হাঁটুর জয়েন্টে বেশি চাপ পড়ে। বড়ো বড়ো পা ফেলে হাঁটতে হয়। তাই শক্তিও বেশি লাগে। অর্থাৎ বালিতে হাঁটা তুলনায় কঠিন কাজ, এমনই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =