পাপুয়া নিউগিনি দ্বীপের এখনকার বাসিন্দাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাতে অবদান আছে ডেনিসোভানদের। আদিম মানুষের একটা রহস্যময় শাখাব এই ডেনিসোভানরা। কিন্তু তাদের আবিষ্কার বেশ সাম্প্রতিক, ২০১০ সালে। সাইবেরিয়া আর তিব্বত থেকে কিছু ডিএনএ নমুনা আর শরীরের সামান্য কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
ডেনিসোভানদের সাথে নিকট সম্পর্ক রয়েছে নিয়েন্ডারথাল প্রজাতির। যদিও দুটো গোষ্ঠীই বিলুপ্ত, তবুও হোমো সেপিএন্সদের সাথে আন্তঃপ্রজননের প্রমাণ আছে, অন্তত নৃতাত্ত্বিকরা তা’ই মনে করেন। আবার ডেনিসোভান আর নিয়েন্ডারথাল দুটো গোষ্ঠী আজ থেকে আনুমানিক ৪০০০০০ বছর আগে একই পূর্বসূরি থেকে বিবর্তিত হয়েছে। নিয়েন্ডারথাল গোষ্ঠী ইউরোপের দিকে গিয়েছিল আর ডেনিসোভানরা পূর্বদিকে এশিয়াতে চলে আসে।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে, ডেনিসোভান ডিএনএ ছড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। পাপুয়া নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়ার আদিম জনগোষ্ঠী, মেলানেশিয় বা ফিলিপিন্সের অনেক জনজাতির মানুষের অন্তত ৫% ডিএনএ আসে ডেনিসোভানদের থেকে।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইরিন গ্যালেগো রোমেরো বলছেন, দেখা গেছে পাপুয়াবাসী মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় উপস্থিত জিনের গঠনে অনেকখানি ভূমিকা রয়েছে কিছু ডেনিসোভান ডিএনএ-র।