রেড স্কাই প্যারাডক্সের সমাধান হয়তো মিলবে

রেড স্কাই প্যারাডক্সের সমাধান হয়তো মিলবে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

লাল বামন তারাতেই ভরে আছে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের শতকরা ৭৫ ভাগ অঞ্চল। তবুও প্রাণের চিহ্ন এই লোহিত আকাশে কোথাও নেই। এটাকে বিজ্ঞানীরা রেড স্কাই প্যারাডক্স বলে থাকেন।
সূর্যের মতো নক্ষত্র আমাদের ছায়াপথে বিরল। মাত্র ১০ শতাংশ জায়গা জুড়ে তাদের বিচরণ। এদের জি-টাইপ তারা বলা হয়। যারা সংখ্যাগুরু, সেই লাল বামন তারাদের খালি চোখে দেখাই যায় না। ঠাণ্ডা, নিষ্প্রভ কিন্তু লম্বা আয়ু এইসব নক্ষত্রের। যদিও সূর্যের অর্ধেক ওজনও তাদের নয়।
অন্যদিকে আমাদের সূর্য একটা হলুদ বামন নক্ষত্র। আর তার আলোতেই পৃথিবী নামের একটা গ্রহে প্রাণের এই বিচিত্র সমাহার। ব্যাপারটা বেশ বৈষম্যের বটে।
লাস ভেগাসে অবস্থিত নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিজ্ঞানী সম্প্রতি এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করলেন অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স নামের পত্রিকায়। অ্যানা চাইল্ডস, রেবেকা মার্টিন আর মারিও লিভি। ওনাদের মতে, লাল বামন নক্ষত্রের পরিমণ্ডলে কোনও গ্রহানু বা গ্যাসপিণ্ডের মতো বস্তু নেই যা থেকে পৃথিবীর মতো সপ্রাণ গ্রহের জন্ম হবে। তার উপরে, রেড ডোয়ার্ফ বেশ সক্রিয় নক্ষত্রের উদাহরণ। অবিরত লাভা বেরোচ্ছে। তেজস্ক্রিয় বিকিরনের ঠ্যালায় আশেপাশের গ্রহ পুড়ে খাক হয়ে যেতে পারে।
রেড স্কাই প্যারাডক্স বরং ঘুরিয়ে ব্যাখ্যা দিতে পারে কেন আমাদের গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − twelve =