ক্রিসমাসের গুঁতো!

ক্রিসমাসের গুঁতো!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২

শুধুই কালীপূজো বা আরও নানা ভারতীয় উৎসবে নয়, পটকা ফাটানর রেওয়াজ আছে যীশুর জন্মদিনেও। ক্রিসমাসের কটা দিনও শব্দের ঠ্যালা থেকে আর দূষণের গুঁতো থেকে নিরাপদ নয়।
ভিক্টোরিয়া আর আলবার্ট মিউজিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৪০ নাগাদ ক্র্যাকার্স বা শব্দবাজির প্রচলন করেন কেক-প্রস্তুতকারক টম স্মিথ। উদ্দেশ্য ছিল মিষ্টি আমন্ডের বিক্রি বাড়ানো। দুটো পাতলা কার্ডের টুকরো জোড়া থাকত, টেনে আলাদা করার সময় তারা ফাটতেও পারে।
পরে মনোমত শব্দের জন্যে সামান্য পরিমাণে সিলভার ফালমিনেট একটা কার্ডের একপ্রান্তে একটুখানি লাগিয়ে দেওয়া হত। তারপর ঐ অংশটাই জোড়া হত অন্য কার্ডের সাথে। দ্বিতীয় কার্ডে খরখরে শিরীষ কাগজের মতো একটা জিনিস থাকত।
সিলভার ফালমিনেট অস্থায়ী যৌগ। গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিড, সিলভার আর ইথানলের বিক্রিয়ায় ঐ যৌগ তৈরি হয়। কাগজের কার্ড একটু টানলে অতি অল্প ঘর্ষণেই ছোট্ট একটা বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। এই বিস্ফোরক যৌগের নিজে থেকেই ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা এতটাই বেশি যে খুব কম পরিমাণে ব্যবহার করাটাই নিরাপদের।
গুঁতো রয়েছে বায়ুদূষণের, শব্দদূষণেরও। পটকা ফাটলেই নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড আর ধাতব লবণ উৎপন্ন হয়। যা বাতাসে মিশে বা জলে দ্রবীভূত হয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রে।