বায়ুবাহিত ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাবে ফেস মাস্ক

বায়ুবাহিত ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাবে ফেস মাস্ক

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

ফেস মাস্ক অর্থাৎ মুখ ঢাকার কাপড়। কোভিড অতিমারির নিশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মাস্কের ভেতর কোনও ইলেক্ট্রনিক্স কেরমতিতে যদি বোঝা যেত সার্স কোভ-২ বা এজাতীয় বায়ুবাহিত ভাইরাসের উপস্থিতি। সেই দিন দূরে নয়, নতুন প্রযুক্তির মুখাবরণ বানিয়ে ফেলেছেন গবেষক ইন ফ্যাং ও তাঁর সহকর্মীরা।
সাংহাইয়ের তংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ফ্যাং বলছেন, এই নতুন মাস্ক ওজনে খুবই হালকা। যখন খুশি যেখানে খুশি মুখে গলিয়ে নেওয়া চলে। শ্বাসঘটিত সংক্রামক ব্যাধিতে আগেভাগেই ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক করতে সক্ষম এই বিশেষ প্রযুক্তির মাস্ক।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় সূক্ষ্ম বায়ুকণার ভেতরেই করোনার মতো ভাইরাসের আনাগোনা। কথা বলার সময়, কাশি হলে, বা হাঁচির মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি হাজারে হাজারে জীবাণু ছড়াতে পারে। কোভিডে আক্রান্ত একজন মানুষ উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে থেকেই আরও অনেককে আক্রান্ত করতে সক্ষম। ভাইরাস সৃষ্টি করা বিশেষ প্রোটিনকে শনাক্ত করতে পারবে এই নতুন মাস্ক, এমনই জানিয়েছেন গবেষক ফ্যাং। এই রকম প্রোটিন বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লুয়ের জন্যেও দায়ী। এই প্রোটিনগুলোর সামান্য ভগ্নাংশ থেকেই মাস্কে থাকা সেন্সর ধরে ফেলবে ভাইরাসের উপস্থিতি। সেন্সর থেকে সরাসরি তথ্য পৌঁছবে গবেষকদের কাছে। তারপর মাস্ক ব্যবহারকারীর ফোনে বা অন্যভাবে তাকে জানিয়ে দেবেন গবেষকরা। পরিকল্পনা এমনই।
গবেষক দল মনে করছেন, ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের ভাইরাসঘটিত মহামারিতে জনস্বাস্থ্য দপ্তর ও চিকিৎসকদের কাজে লাগবে এই সেন্সর-মাস্ক যুগলবন্দী।