ঘ্রাণশক্তি আগের মতো হয় না কেন কোভিড হলে?

ঘ্রাণশক্তি আগের মতো হয় না কেন কোভিড হলে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

সার্স-কোভ-২ সংক্রমণে নাকে থাকা স্নায়ুকোষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আক্রমণ করে। গবেষণা থেকে এটা ইতিমধ্যেই জানা গেছে। নাসাপথে স্নায়ুকোষের সংখ্যা যতই কমতে থাকে, আক্রান্ত ব্যক্তির গন্ধ শোঁকা এবং গন্ধ চিনতে পারার ক্ষমতাও হ্রাস পায়।
নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী ব্র্যাডলি গোল্ডস্টাইন জানিয়েছেন, ভাইরাস সংক্রমণের মোক্ষ সময়ে যদি ঘ্রাণশক্তি পাল্টে যায় তাহলে বেশিরভাগ মানুষেরই রোগ সারবার এক থেকে দু সপ্তাহের মধ্যে সেটা স্বাভাবিকও হয়ে যায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে।
গোল্ডস্টাইনের গবেষক দল ২৪ জন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির অলফ্যাক্টরি এপিথেলিয়াম অর্থাৎ নাকের ভেতরকার কলার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাদের মধ্যে নজন রোগী দীর্ঘমেয়াদি কোভিডে ভুগছিলেন। ঐ কলার মধ্যেই সেই নিউরনগুলো থাকে যাদের মাধ্যমে গন্ধের বিষয়টা নিয়ন্ত্রিত হয়।
সবিস্তারে খতিয়ে দেখে, গবেষকরা উল্লেখ করলেন বেশি সংখ্যায় টি-সেলের উপস্থিতি। এটা একপ্রকার শ্বেত কণিকা যারা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নাকের মধ্যে প্রদাহের মতো একটা সংবেদন এই টি-সেল তৈরি করছিল। কিন্তু উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে এই কোষগুলো। অলফ্যাক্টরি এপিথেলিয়াম কলা নষ্ট করে এরাই।
গোল্ডস্টাইন বলছেন, এই অনুসন্ধান মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। তাঁর ভাষায়, যেন নাকের মধ্যে অটোইমিউন কোনও প্রক্রিয়া চলছে যাতে ঐ অঙ্গেরই ক্ষতি হয়ে চলেছে।