ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে মাছের শিরঃপীড়া

ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে মাছের শিরঃপীড়া

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১০ জানুয়ারী, ২০২৩

মাছ আর ইঁদুর – দুটোই আমাদের চেনা প্রাণী। কিন্তু কষ্টকল্পনাতেও কেউ এদের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক ভাববার দুঃসাহস করবে না। যদিও হচ্ছে তেমনটাই। নিরক্ষীয় অঞ্চলের দ্বীপগুলোতে। ইঁদুরের বাড়াবাড়িতে জলের নিচে প্রবাল প্রাচীরে বাস করা মাছের আচরণ পাল্টে যাচ্ছে।
ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী জুটি বেঁধেছিলেন কানাডার লেকহেড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাথে। ওনাদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ক্ষতিকর কালো ইঁদুরের উপস্থিতির কারণে জুয়েল ডেমসেলফিশ নামক মাছের চরিত্র বদলে যাচ্ছে দিনেদিনে। নিরক্ষীয় দ্বীপগুলোতে প্রবাল প্রাচীরে বাস করা এই মাছ তৃণভোজী প্রজাতির। প্রবালের গায়ে লেগে থাকা শৈবালে পেট ভরে তাদের।
নেচার পত্রিকার ইকোলজি অ্যান্ড এভোলিউশান বিভাগে প্রকাশিত হল এই গবেষণার খবর। ইঁদুরের উপদ্রব আছে এমন পাঁচটা দ্বীপ আর ইঁদুর-মুক্ত পাঁচটা দ্বীপের তুলনা করে দেখা হয়েছে। এই দ্বীপগুলো ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দের পর ঐসব দ্বীপে যখন জাহাজের যাতায়াত শুরু হয় তখন থেকেই ইঁদুরের আবির্ভাব সেখানে। তারপর থেকে পুষ্টিপদার্থের চক্র বিগড়ে দিয়ে ডেমসেলফিশের খাদ্যগ্রহণের বৈশিষ্ট্য পাল্টে দিয়েছে কালো ইঁদুরের দল। তারপর আছে সামুদ্রিক পাখিদের আনাগোনা। ইঁদুরের লোভে যারা ঐসব দ্বীপে উড়ে আসত। অর্থাৎ বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যের একটা অংশ ইঁদুরের দেহ হয়ে পাখিদের শরীরে চলে যেত। তাতেই ক্ষতি হয়ে গেছে মাছের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =