মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে উঠে আসতে পারে, বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে উঠে আসতে পারে, বিপদ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১০ জানুয়ারী, ২০২৩

মাটিতে থাকা অজৈব দূষক শোষণ করছে গাছ, সেই গাছ খেয়ে শরীরে ন্যানোপ্লাস্টিক বাড়ছে কীটপতঙ্গের। তারপর ধীরে ধীরে খাদ্য শৃঙ্খলের অন্য সদস্যদের দেহ হয়ে মানুষের পেটেও পৌঁছতে পারে প্লাস্টিকের অভিশাপ।
ইয়োরোপের একদল গবেষক নতুন এক পরীক্ষার সাথে যুক্ত ছিলেন। ইউনিভার্সিটি অফ ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডের জীববিজ্ঞানী ফাজেল মোনিখ নেতৃত্ব দিয়েছেন এই গবেষণায়। পলিস্টাইরিন আর পলিভিনাইলের ২৫০ ন্যানোমিটারের কণা নিয়ে পরীক্ষাগারে লেটুস পাতার উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১৪ দিন পর সেই লেটুস খাওয়ানো হয় ব্ল্যাক সোলজার মাছির লার্ভাকে। তারও দিন পাঁচেক পর রোচ মাছের পেটে যায় ঐ লার্ভাগুলো। এরপরে খাদ্য ছকের প্রতিটা ধাপে জীবদেহ কেটে ছিঁড়ে কোষকলা তদন্ত করে বিজ্ঞানীরা হতবাক।
রোচ মাছের ফুলকা, যকৃত আর অন্ত্রে পাওয়া গেল ন্যানোপ্লাস্টিকের নমুনা। একইভাবে পতঙ্গের মুখ আর পেটেও মিলেছে সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণা। এমনকি লেটুস গাছের পাতাতেও পলিভিনাইল ক্লোরাইড হিসেবে জমেছে প্লাস্টিক। প্রোফেসর মোনিখ বলছেন, মাটি থেকে প্লাস্টিক শোষণ করে গাছেরাই খাদ্য শৃঙ্খলে জায়গা করে দেয় এই অজৈব উপাদানকে। তারপর শাকাহারি প্রাণীদের মাধ্যমে তা খাদ্য খাদক সম্পর্কের শীর্ষে থাকা মানুষের দেহেও প্রবেশ করতে পারে।
ন্যানো টুডে পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত হল এই গবেষণাপত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =