যথেচ্ছ বিস্ফোটে বিকশিত হয় অরগানেলা

যথেচ্ছ বিস্ফোটে বিকশিত হয় অরগানেলা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ জানুয়ারী, ২০২৩

কোষের ভেতরে পর্দায় ঘেরা কোনও ছোট অংশকে বলে অরগানেলা। যেমন – মাইটোকন্ড্রিয়া। আবার উদ্ভিদ, প্রাণী বা ছত্রাকের দেহ তৈরি হয় ইউক্যারিওটিক কোষ দিয়ে। সেগুলো কিন্তু সুগঠিত বস্তু, এলোমেলো মোটেই না।
এই ইউক্যারিওটিক কোষের মধ্যেই যে ক্ষুদ্রতর গঠন থাকে। সেগুলোই অরগানেলা। কোষের নিউক্লিয়াস আরেকটা উদাহরণ। আবার শক্তি উৎপাদন করে যে মাইটোকন্ড্রিয়া সেটাও একটা অরগানেলা। কিন্তু কীভাবে কোষের মধ্যে এই অংশগুলো বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে পরিচালিত হয় সেটা বিজ্ঞানীরা এখনও স্পষ্ট করে জানেন না।
সেই দায়িত্বটা এবার কাঁধে নিলেন সেন্ট লুইসে অবস্থিত ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পদার্থবিদ। নতুন পরীক্ষায় তাঁরা দেখিয়েছেন কীভাবে ইউক্যারিওটিক কোষ এইসব অরগানেলার আকার শক্তহাতে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি বিশেষ একটা অরগানেলা কতটা বড়ো হবে তার জন্যেও একটা সার্বজনীন বিধি রয়েছে। এর আগে অবধি এটা বিজ্ঞানীরা তাত্ত্বিকভাবে অনুমান করতেন কেবল। গবেষকরা একটা নমুনা পেশ করেছেন। তাতে বোঝা যাচ্ছে এইসব অরগানেলা যথেচ্ছ বিস্ফোরণে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৬ই জানুয়ারি ফিজিক্যাল রিভিউ পত্রিকায় গবেষণাপত্রটা প্রকাশিত হল। মুখ্য গবেষক শঙ্কর মুখার্জি জানিয়েছেন, কোন কোন ধাপে অরগানেলা বাড়তে থাকে সেটাই বলা হয়েছে। বিষয়টা ‘ইটের পরে ইট’ সাজানোর মতো নয়। বরং সম্ভাবনার সূত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটা বিশৃঙ্খল প্রক্রিয়া। এই যথেচ্ছ পদ্ধতিতে অরগানেলার আকার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টা নিখুঁত হয় না বটে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে অনেকটা গোলযোগের সুযোগ থাকে। সেটা যাতে না হয়, তার জন্যেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই হাতে রাখে ইউক্যারিওটিক কোষ।