CRISPR’ এক অভিনব উপায়ে আক্রমণকারী ভাইরাস থেকে ব্যাকটেরিয়াকে রক্ষা করে

CRISPR’ এক অভিনব উপায়ে আক্রমণকারী ভাইরাস থেকে ব্যাকটেরিয়াকে রক্ষা করে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ মে, ২০২৩

CRISPR/Cas সম্পূর্ণ অর্থ হল ক্লাস্টারড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিন্ড্রোমিক রিপিটস বা CRISPR-এসোসিয়েটেড এন্ডোনিউক্লিজ সিস্টেম। এর মূল বৈশিষ্ট্য হল আক্রমণকারী ভাইরাসের পরিচিত জিন খুঁজে বের করে তাদের অকার্যকর করে তোলা। CRISPR ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতার বৈশিষ্ট্য।সাম্প্রতিককালে ডিএনে কোড সনাক্ত করা ও ডিএনএ এডিটিং –এর জন্য জেনেটিসিস্টের টুলবক্সে এটি অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ রচেস্টার এবং কর্নেল ইউনিভার্সিটি, ইথাকার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে এই সুপরিচিত জিন-এডিটিং বা জিন-সংশোধনকারী টুলটি ব্যাকটেরিয়াতে কেবল ডিএনএ-এর অংশটি চিহ্নিত করে কেটে বাদ দেওয়া ছাড়াও এটি অন্যান্য প্রোটিনের সাথে সংযুক্ত হয়ে আক্রমণকারী ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষাও দেয়। এটি Csx28 নামে পরিচিত ফানেল-আকৃতির প্রোটিনগুলোকে সক্রিয় করে এবং ব্যাকটেরিয়ার ঝিল্লির ব্যাপ্তিযোগ্যতা নষ্ট করে। এর ফলে আক্রমণকারী ভাইরাল ডিএনএ ভিতরে ঢুকতে পারে না ও কোশের অভ্যন্তেরীন উপাদান ব্যবহার করতে পারে না এবং ফলত ডিএনএ-র প্রতিলিপিও তৈরি করতে পারে না।
গবেষণায় একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে যেখানে Escherichia coli ব্যাকটেরিয়াকে এন্টারোব্যাকটেরিয়া ফেজ λ নামে একটা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত করা হয়েছিল। এই ফেজ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া কোশের পৃষ্ঠের উপর আটকে থাকে এবং নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে কোশের ভিতরে নিজের ডিএনএ-কে ঢুকিয়ে দেয়। ই. কোলাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। CRISPR ব্যবহার করে পূর্বের সম্মুখীন হওয়া ফেজগুলি থেকে পুনরাবৃত্তিমূলক ডিএনএ-র অংশ সনাক্ত করে এবং পরে Cas13b নামের এনজাইম ব্যবহার করে আক্রমণকারী ডিএনএকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। সায়েন্স পত্রিকায় এই গবেষণা প্রকাশিত হয় যেখানে রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়নবিদ মার্ক ডুমন্ট বলেন যে যদিও চিকিৎসা পদ্ধতিতে অবিলম্বে এর কোনো প্রাসঙ্গিকতা বা প্রয়োগ নেই তবুও এ্রর থেকে উদ্ভূত ধারণাগু্লো ভবিষ্যতে খুব শক্তিশালী প্রতিপন্ন হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + six =