চিঠিপত্র
ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় পাথরের ঈশ্বরের হাতে প্লাস্টার
অশিক্ষা, ‘যাহাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তাহাকে আকঁড়ে থাকার নামই বিশুদ্ধ সংস্কৃতি’, ইত্যাদি অনেক কারণ থাকলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে, এই রাজনৈতিক ভাবনাই সম্ভবত অপবিজ্ঞানকে সযত্নে লালন করে চলার অন্যতম কারণ এদেশে।
শুধু কি এটুকুই? নাকি আমরা যাঁরা নিজেদের মুক্ত মানসিকতার মানুষ বলে মনে করি তাঁরাও এসব দেখতে দেখতে আজকাল ক্লান্ত! তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির রিঅ্যাকশন দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাই। তবে যা কিছু দৃশ্যত ‘স্বাভাবিক’ বলে এড়িয়ে যাই সেসব কিছুই যে সমর্থনীয়, এমনটাও তো নয়।
আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বিজ্ঞানভাষের কাছে প্রত্যাশা থেকে যায়। দেশ-বিদেশ-মহাকাশ, বিজ্ঞানের অভাবনীয় সব সাফল্যের পাশাপাশি বিনম্র শ্রদ্ধায় অপবিজ্ঞানকে লালন করে চলার এসব খবরও থাকুক বিজ্ঞানভাষের পাতায়।
একধরনের ইনফর্মড-প্ল্যানড অনৈতিকতাকে, অপবিজ্ঞানকে সংস্কৃতিতে পরিণত করার নতুন করে চেষ্টা চলছে এদেশে, বিশেষত গত কয়েকবছর। এ বিষয়ে বিজ্ঞানভাষ (সমস্ত সীমাবদ্ধতাকে মাথায় রেখেই) কিছু উদ্যোগ নেবে এই আশা রাখলাম।
গৌরগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা
প্রিয় সম্পাদক মন্ডলী,
প্রথমেই আপনাদের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আপনাদের প্রচেষ্টা সার্থক হয়ে উঠুক।
১৬ নভেম্বর,২০২১ তারিখে আজকের খবরে প্রকাশিত খবর – “মহাকাশে চাঁদের টুকরো দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা” সম্পর্কে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
ভুল ধরিয়ে দেওয়া বা সমালোচনা করার জন্য লিখছি না।
১) “…… কয়েক লক্ষ বছর আগে মঙ্গলের মাপেরর কোনও গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হয়েছিল।”
তথ্যটির মধ্যে বড় ধরনের ভুল রয়েছে। কয়েক লক্ষ বছর আগে নয়। সংঘর্ষ হয়েছিল চারশো একান্ন কোটি বছর আগে।
(Ref:https://en.wikipedia.org/wiki/Moon)
২) দুইশত ফুট আকারের একটি গ্রহানু যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে তাহলে সেটার ভয়াবহতা হবে বিশাল।
ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হবেই। বিশাল ধ্বংশাত্মক সুনামি তৈরি হবে।
হয়তো পাঁচ থেকে আট কিলোমিটার ব্যাসের একটি গভীর গর্ত ভূপৃষ্ঠে সৃষ্টি হবে।
বহু মানুষের মৃত্যূ হবে – কিন্তু কিছুতেই ওই ঘটনায় “পৃথিবীটা ধ্বংস পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে” এই ধরনের আশঙ্কা অমূলক।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
অনুপ সেন
সল্টলেক, কলকাতা ৭০০ ০৬৪