অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে নতুন ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে নতুন ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১২ অক্টোবর, ২০২৩

ম্যালেরিয়া কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে বিদ্যমান, শুধু মানুষের মধ্যে নয়, মানুষের আগের প্রজাতিও এর শিকার। অত্যন্ত চতুর এই পরজীবী সমস্ত ধরণের প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি নতুন ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে যা বিজ্ঞানীদের মতে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেবে, এই রোগ আফ্রিকায় প্রতি বছর অর্ধ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সাথে মিলে তৈরি করা হয়েছে R21/Matrix ভ্যাকসিন। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এটা ম্যালেরিয়া ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমায়।
আফ্রিকার ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলে প্রতি বছর প্রায় ৪০ মিলিয়ন শিশু জন্মগ্রহণ করে যারা এই ধরনের ভ্যাকসিন থেকে উপকৃত হবে। গবেষকরা জানিয়েছেন একটা শিশুকে ১৪ মাস ধরে চার-ডোজের একটা ভ্যাকসিন দিতে হয়, অর্থাৎ এই ৪০ মিলিয়ন শিশুর জন্য প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডোজ প্রয়োজন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে এক বছরে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, তাদের উত্পাদন এবং বাণিজ্যিক অংশীদার, যারা প্রতি বছর এই ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ তৈরি করতে পারবে। ইউনিসেফের রিপোর্ট অনুসারে ২০২৩ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আগের ভ্যাকসিন বছরে ৬ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করা যেতে পারে। এই ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হল এর কম খরচ। গবেষকরা জানিয়েছেন তারা এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন যে বিশেষ দামী ভ্যাকসিন তৈরি করলে খুব কম আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিন ক্রয় এবং বিতরণে সহায়তাকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে এটা দুর্লভ হয়ে যাবে, ফলে সকলের কাছে সুবিধা পৌঁছোবে না। বর্তমান ভ্যাকসিনের মূল্য পরিমাণ অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে, কিন্তু উচ্চ পরিমাণে নিলে এর একটা ডোজের দাম সম্ভবত ৫ ডলার হবে। অতএব এই ৭৫ শতাংশ কার্যকারী, সস্তা, সুলভে উৎপাদিত ভ্যাকসিন বিশ্বের বহু মানুষের উপকারে আসতে পারে।