সারা পৃথিবীতে নিরবিচ্ছিন্ন বহু প্রকল্পগুলো চলে রোগ-প্রতিরোধের জন্যে। ভ্যাকসিন দেওয়া, সচেতন করা, রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতির উন্নতি, চিকিৎসার উন্নতি এইসব নানাবিধ কর্মসূচী থাকে। কিন্তু শেষ কয়েক বছর অতিমারিতে অনেকটাই ঘাটতি তৈরি হয়েছে এইসব কর্মকাণ্ডে। ফলাফল কী হবে সেটা চলতি বছরের নভেম্বরেই জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা সংক্ষেপে হু।
গত মাসের শেষে হু ঘোষণা করেছে, পৃথিবীর প্রত্যেকটা কোণায় হামের বিপদ আসছে চলেছে। হাম বা মিসেলস একটা শ্বাসঘটিত সংক্রামক রোগ। ছড়িয়ে পড়ে কোভিডের মতোই। মৃদু উপসর্গ হচ্ছে গায়ে হাতে চুলকানি (র্যাশ) আর জ্বর। কিন্তু রোগটা জটিলও হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে এন্সেফালাইটিস, অন্ধত্ব, নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক সব ক্ষতি হয় আক্রান্তের। প্রতিবছর মোটামুটি ৯ মিলিয়ন মানুষ হামের শিকার হন, আর মৃত্যুর হিসেবটা ১২৮০০০!
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নেয় না। প্রতি দশ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। উন্নত দেশগুলোতে সংখ্যাটা স্বাভাবিকভাবেই ভালো। সেখানে প্রতি ১০০০-৫০০০ জনের মধ্যে মৃত্যু একজনের হয়।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথের গবেষক মাইকেল হেড এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।