অ্যামাজনের জঙ্গল আর তিব্বতের আবহাওয়া – দূরসম্পর্কের আত্মীয়?

অ্যামাজনের জঙ্গল আর তিব্বতের আবহাওয়া – দূরসম্পর্কের আত্মীয়?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ১ এপ্রিল, ২০২৩

সুকুমার রায়ের গেছো দাদা থাকলে কলকেতা, রানাঘাট, তিব্বত, ডায়মন্ড হারবার দিব্বি জুড়ে দিতেন। কিন্তু সে তো পরাবাস্তব। কিন্তু বাস্তবের এক্তিয়ারে থেকেও এমন অদ্ভুত কথা শোনাতে পারে বিজ্ঞানও। অ্যামাজনের বৃষ্টিঅরণ্য কেটে ফেললে তিব্বতের আবহাওয়ায় প্রভাব পড়বে। দুটো জায়গায় মধ্যে ১৫০০০ কিলোমিটারের ব্যবধান।
নেচার পত্রিকায় ক্লাইমেট চেঞ্জ বিভাগে সম্প্রতি প্রকাশিত হল গবেষণাপত্রটা। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির গবেষক ভ্যালেরি লিভিনা খবরের মতো করে লিখেছেন সেটা। অ্যামাজনের নিরক্ষীয় জঙ্গল পৃথিবীর জলবায়ুর সাপেক্ষে অত্যন্ত সংবেদনশীল কেন্দ্র। অর্থাৎ, যে জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অল্প অল্প পরিবর্তনের ফলে বড়সড় বদল ঘটতে পারে বিশ্বের সামগ্রিক আবহাওয়া আর পরিবেশের ভারসাম্যে। অ্যামাজনে অরণ্যছেদন এমন একটা পর্যায়ে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে যেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় সেটাকে আর মোটেই ফেরান যাবে না।
নতুন গবেষণায় ভ্যালেরি লিভিনা দেখিয়েছেন কীভাবে ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ সাল অবধি এই চার দশকে অ্যামাজনের জঙ্গলের উপর অত্যাচারে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কীরকম বিরূপ প্রভাব পড়েছে। দক্ষিণ অ্যামেরিকার উত্তর অংশের তাপমাত্রা যেমন বেড়েছে তেমনই পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক কিংবা তিব্বতের মালভূমিতেও উষ্ণতা বেড়েছে সমান তালেই। আবার উল্টোটাও হয়েছে। এই চার দশকে মধ্যে ছোট ছোট পর্যায়ে অ্যামাজনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে কিন্তু তিব্বতে সেই একই সময় বর্ষণের মাত্রা নেমে গেছে।