অ্যামিবা একধরণের এককোষী জীব। স্ব-সংগঠনের মাধ্যমে তারা প্রয়োজন পড়লে জটিল গঠন তৈরি করতে পারে। এটা তারা করতে পারে স্থানীয় ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমেই। যেমন ধরা যাক, যখন খাবারের পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে অ্যামিবারা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু খাদ্যদ্রব্যে টান পড়লে, তারা সাইক্লিক অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট নামের এক বার্তাবাহী রাসায়নিক নির্গত করে। এই রাসায়নিকের প্রভাবে অ্যামিবা এক জায়গায় জড়ো হয় এবং বহুকোষী জোটের সৃষ্টি হয়।
লোয়োলা ম্যারিমাউন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক আরউইন ফ্রে বলছেন, এই ঘটনা আগে থেকেই জানা ছিল। কিন্তু তাতে কি! আরও কিছু গবেষকদের সাথে জোট বেঁধে নেচার কমিউনিকেশান পত্রিকায় ওনারা একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। কীভাবে অ্যামিবার আচরণকে প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রয়োগ করা যায় সেটাই ছিল গবেষকদের লক্ষ্য। সম্পূর্ণ বিশদে বিবরণের প্রয়োজন নেই, কিন্তু কীভাবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে স্ব-সংগঠনের মাধ্যমে জোটবদ্ধ হতে পারে বিভিন্ন এককগুলো। সেটা যেমন অ্যামিবার ক্ষেত্রে সত্যি তেমনই কিছু নির্দিষ্ট রোবটের ক্ষেত্রেও। অধ্যাপক ইগর অ্যারন্সন এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সফট রোবটের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে অ্যামিবার বৈশিষ্ট্য। এমনটাই জানালেন অধ্যাপক ফ্রে। এই প্রকারের রোবটরা মানুষের শরীরের মধ্যে চিকিৎসার প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে একটা রোবট না হয়ে একঝাঁক ছোট ছোট রোবটও থাকতে পারে। তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্যে কাজে লাগবে অ্যামিবার বিদ্যা।