আওয়াজ করে ভাববিনিময়ের ইতিহাস ৪০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো

আওয়াজ করে ভাববিনিময়ের ইতিহাস ৪০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

না, মানুষের প্রসঙ্গ উঠছে না। অথবা অন্য কোনও স্তন্যপায়ীকে নিয়ে নতুন এই গবেষণা নয়। বরং জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক স্থলচর মেরুদণ্ডী প্রাণীদের এমন ৫৩টা প্রজাতিকে নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন, যারা এতদিন কিছুটা আড়ালে ছিলই বলা চলে। কচ্ছপ, তুয়াতারা, লাংফিশ আর সিসিলিয়ান। তাদের আওয়াজের নমুনা আর প্রাসঙ্গিক আচরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্র গ্যাব্রিয়েল জর্জউইচ-কোহেন ছিলেন মুখ্য গবেষক। ওনার মতে, এতদিন যেসব প্রাণীকে বোবা বলে মনে করা হত দেখা গেছে সেইসব স্থলচর মেরুদণ্ডীদের মধ্যে আওয়াজ করে কথাবার্তা চালানোর ব্যাপক রেওয়াজ রয়েছে। স্তন্যপায়ী, পাখি আর ব্যাঙের মধ্যে শাব্দিক ভাববিনিময়ের নানা বৈশিষ্ট্য আছে। নতুন ৫৩টা প্রজাতির সাথে সেইসব তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়। তারপর গবেষকরা কেবলমাত্র মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মৌখিক কথোপকথনের একটা বংশবৃক্ষের মতো তালিকা তৈরি করেছেন। অন্যতম প্রধান গবেষক মার্সেলো সাঞ্চেজ বলছেন, আওয়াজের সাহায্যে বার্তার আদানপ্রদান এইসব প্রাণীদের মধ্যে একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য। আজ থেকে আনুমানিক ৪০৭ মিলিয়ন বছর আগে কোনও এক পূর্বসূরি প্রাণীর ঐ বিশেষ চরিত্রেরই প্রকাশ ঘটেছে পরবর্তী মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে।
জন্তু জানোয়ারের শরীরে শ্রবণযন্ত্রের বিকাশ ও বিবর্তনের গঠন লক্ষ্য করে এতদিন কিন্তু বিজ্ঞানীরা অন্য কথা ভাবতেন। কিন্তু সেই ধারণার সপক্ষে দৃঢ় কোনও যুক্তি ছিল না। উপরন্তু অনেক প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সেই আলোচনাও এযাবৎ উপেক্ষিত ছিল। কিন্তু জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন অনেক প্রাণীর নমুনা নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চালিয়েছেন। প্রাণীজগতে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা থেকে এই মৌখিক ভাববিনিময়ের বৈশিষ্ট্য আমদানি হয়নি, বরং একটা সাধারণ পূর্বসূরি থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আওয়াজের রেওয়াজ সঞ্চারিত হয়েছে।