আজীবন শেখার চাবিকাঠি- ‘সাইলেন্ট সাইন্যাপ্স’

আজীবন শেখার চাবিকাঠি- ‘সাইলেন্ট সাইন্যাপ্স’

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ ডিসেম্বর, ২০২২

পৃথিবীতে এসে নতুন জিনিস জানা, চেনা ও আবিষ্কারের সময় নবজাতকদের খুব তাড়াতাড়ি প্রচুর পরিমাণে নতুন তথ্য সঞ্চয় করতে হয়। মনে করা হয় জন্মের পর প্রথম দিকে যখন দুটো নিউরনের মধ্যে অপরিণত সংযোগ স্থাপিত থাকে (কারণ সেই সাইন্যাপ্সগুলোতে কোনও নিউরোট্রান্সমিটার থাকে না) এই সাইন্যাপ্স তাদের দ্রুত তথ্য সঞ্চয় করতে সাহায্যে করে। এই সাইন্যাপ্সকে ‘সাইলেন্ট সাইন্যাপ্স’ বলে। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
গবেষকেরা স্নায়ু-কোশের সম্প্রসারিত অংশ ডেনড্রাইটের অবস্থানের উপর কাজ করতে গিয়ে, ডেনড্রাইটে ছাড়াও ডেনড্রাইটের প্রান্তে অগণিত ক্ষুদ্র, সুতোর মতো কিছু প্রোট্রুশন বা উদ্গত অংশের ছবি সংগ্রহ করেছিলেন।এই উদ্গত অংশকে ফিলোপোডিয়া বলে।
এমআইটি নিউরোসায়েন্টিস্ট মার্ক হার্নেট বলেছেন তারা অপ্রত্যাশিতভাবে দেখতে পেয়েছিলেন এই ফিলোপোডিয়া স্নায়ু কোশে সর্বত্র ছড়িয়ে ছিল। অনেক সময় দুটো নিউরোট্রান্সমিটার রিসেপ্টরের মধ্যে মাত্র একটা রিসেপ্টর উপস্থিতি থাকায় দুটো নিউরনের মধ্যে একটা ‘সাইলেন্ট সাইন্যাপ্স’ তৈরি হয়েছিল, যা নিউরনের সংযোগস্থলে নিঃশব্দভাবে অবস্থান করছিল।
হারনেট মনে করেন ফিলোপোডিয়া স্মৃতিশক্তিকে নমনীয় এবং শক্তিশালী হতে সাহায্য করে । নতুন তথ্য অর্জনের জন্য যেমন নমনীয়তা প্রয়োজন, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধরে রাখার জন্য স্থিতিশীলতাও প্রয়োজন, যে কাজ ফিলোপোডিয়া করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 4 =