আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রথম জায়গা করে নিল প্রথম বাংলা বই। আমরা যারা ভাষা হিসেবে বাংলাকে ভালোবাসি, এ আমাদের কাছে এক সুখের খবর। বাংলাদেশের তরুন লেখক শাহ জালাল জোনাকের লেখা ‘মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’ বইটি জায়গা করে বিয়েছে মহাকাশ স্টেশনে। বর্তমানে ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশানের কমাণ্ডার রুশ কসমোনট ওলেগ আর্থেমেইফ স্পেস স্টেশন থেকে বইটি হাতে নিয়ে ভিডিও করে পাঠিয়েছেন। বইটি বাংলাদেশের তাম্রলিপ্ত প্রকাশনা থেকে ২০২০ সালে প্রকাশিত। ২০২২ সালের ১৮ ই মার্চ রাশিয়ার বৈকনুর কসমোড্রম থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।
উল্লেখ্য শাহ জালাল জোনাক প্রথম বাংলাদেশি মানুষ হিসেবে রাশিয়ার ‘বাউমান মস্কো স্টেট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে’ রাশিয়ান ফেডারেশনের পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে রকেট কম্পলেক্স অ্যাণ্ড স্পেস সায়েন্স বিষয়ে লেখাপড়া করছেন। জোনাক জানিয়েছেন এই গর্ব গোটা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের।
বাংলা ভাষার সঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানের যোগ কিন্তু এই প্রথম নয়। গতশতাব্দিতে ‘ভয়জার ১’ স্পেসক্রাফট যখন মহাকাশে পাড়ি দেয় সুদুর অজানার উদ্দেশ্যে তখন মিশনের তত্তাবধানে থাকা বিজ্ঞানী ও স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল সাগান ভয়েজারের পেটের মধ্যে পুরে দিয়েছিলেন ‘গোল্ডেন ডিক্স’। সে ডিক্সে অনেক পার্থিব তথ্যের পাশাপাশি ছিল বাংলা ভাষায় একটি বাক্য- ‘বিশ্বের শান্তি হোক’। জালাল জোনাকের মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক বই মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দেওয়া কেবল আবেগের কথা নয়। বাংলা ভাষায় যে বিজ্ঞান চর্চা কতখানি স্বাভাবিক একটি ব্যাপার তা জানান দেয়।