কলকাতার সল্ট লেকে গড়ে উঠেছে ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার। আরও বিশেষভাবে বলতে হলে এই সংস্থা বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত চিলের অভয়াশ্রম। কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে ঘুড়ির মাঞ্জায় গুরুতরভাবে আহত হওয়া চিল পাখির সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়। সল্ট লেকের এই চিকিৎসাকেন্দ্র না থাকলে সংখ্যাটা সম্পর্কে ধারণা করা যেত না। সংস্থার অফিসার মনোজ কুমার যশ জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিন গড়ে পাঁচটা করে আহত চিল এই সংস্থায় আসছে। কোথাও তাদের আহত হওয়ার খবর পেলেই এই সংস্থার কর্মীরা আহত চিলকে রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসছেন। সেন্টারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘুড়ির মাঞ্জা ছাড়া ছাড়াও প্রচুর চিল আহত হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বা উঁচুতে কোনও কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েও। আধিকারিকদের বক্তব্য, সবথেকে কম আহত হওয়া চিলেরও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবার আকাশে উড়তে অন্তত দেড় মাস সময় লাগে। এমাসেই সুস্থ হওয়া ৩০টি চিলকে ঝাড়গ্রামের গিয়ে আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।