সমাজজীবনে ইট এক প্রয়োজনীয় সম্পদ। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে ‘ফ্লাই অ্যাশ ব্রিক’। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্গত ছাই থেকে সৃষ্টি করা হচ্ছে বিশেষ ধরণের এই ইটের। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে এই ছাই দূষিত একটা পদার্থ। তাই দূষণ কমাতে ছাই থেকেই তৈরি করে ফেলা হচ্ছে ইট। কিন্তু এর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে ইটভাটা পরিবেশের দূষণ তৈরি করে। কারণ ইট তৈরি করার সময় মাটির ওপরের অংশটা ব্যবহার করতে হয়। আর জমির ওপরের অংশই চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উর্বর অংশ। সেখানেই থাকে ফলনের যাবতীয় রসায়ন। কৃষিপণ্যের যাবতীয় উৎকর্ষতা ও পরিমাণ নির্ভর করে এই ওপরের অংশের কার্যকারিতার ওপর।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার ইটভাটা সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্ত নিল। যেখানে বলা হয়েছে, মাটির ওপর থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত খুঁড়লে সেটা আর খনি শিল্পের মধ্যে পড়বে না। আর তখন পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র আর নিতে হবে না। মানে এই সিদ্ধান্ত ইটভাটার মালিকদের কাছে সহায়ক হল। কিন্তু ক্ষতি হয়ে যাবে কৃষিজমির, পরিবেশ রক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের। ব্যাহত হবে কৃষিপণ্যের উৎপাদন এবং কৃষিজীবী মানুষের আয়ের বিষয়।