হারিকেন ইডা নামের এক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে লুসিয়ানায়। সোমবার গভীর রাতে। ইডা আছড়ে পড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গিয়েছে নিউ অরল্যান্স শহরের বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা! একই অবস্থা লুসিয়ানাতেও। ১০ লক্ষের বেশি মানুষের ঘরে আলো চলে গিয়েছে। দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঝড়কে ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় ভয়ঙ্করতম ঘূর্ণিঝড় এটা। ২০০৫-এ একইরকমের এক ঘূর্ণিঝড় ‘ক্যাটরিনা’ আমেরিকা ছাড়ার আগে ১৮০০ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল। ইডার ধাক্কায়ও মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত একটি গাছ পড়ে একজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই ঝড় চলাকালীন হাওয়ার গতি ছিল ঘন্টায় ২৪১ কিলোমিটার। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বিস্মিত, মাত্র কয়েক ঘন্টায় ইডা-র গতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায়। তাঁদের ব্যাখ্যা, এর পেছনেও রয়েছে মানুষেরই হাত! সমুদ্রের ওপরটা যত দ্রুত উষ্ণ হবে, ঘূর্ণিঝড়ের ঝাঁঝ ও গতি তত দ্রুত বাড়বে। আশ্চর্যের বিষয়, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করার পরও নিউ অরল্যান্স শহরকে জলে ভাসা থেকে আটকানো যায়নি! ইডা-র আছড়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে শহর ভাসছে জলে। লুসিয়ানার প্রধান হাসপাতালের ছাদ নেই! ঝড়ে উড়ে গিয়েছে! যদিও জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ভেতর রোগীরা নিরাপদেই আছেন। গালফ অফ মেক্সিকো-র ৯০ শতাংশ তেল উৎপাদন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গালিভার গার্সিয়া ডিস্যাস্টার ম্যানেজমেন্ট একজন কর্মী। বহুবছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বলছেন, “এরকম ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমি অনেক বছর দেখিনি। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে এবার।”