জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দেশগুলো ঠিকঠাক পালন করছে কিনা এটা দূষণ নিয়ন্ত্রণের একটা মুখ্য বিষয় বটেই। কার্বনের ব্যাপকতর নিঃসারক যেমন – পাওয়ার প্ল্যান্ট, মেগাসিটি, রাসায়নিক শোধনাগার, বৃহৎ উৎপাদক ক্ষেত্রগুলোতে নজর রাখা খুবই জরুরি। উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রায় অর্ধেকটাই নিঃসৃত হয়।
এবারে বিজ্ঞানীরা চালু কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমেই একেবারে উৎসস্থল থেকেই ধরে ফেলতে পারবেন কতখানি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বাতাসে মিশছে। ফ্রন্টিয়ারস অফ রিমোট সেন্সিং পত্রিকায় নতুন এক গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশগবেষণা কেন্দ্রের সাথে যুক্ত আছে নাসার অরবিটিং কার্বন অবজারভেটরি ২ আর ৩। এই দুই উপগ্রহের মাধ্যমে পাঁচ বছরের কার্বন নিঃসরণের হিসেব হাতেনাতে দিলেন বিজ্ঞানীরা।
ইউরোপের জীবাশ্ম জ্বালানির বৃহত্তম পাওয়ার প্যান্ট পোল্যান্ডের বেলচ্যাটো পাওয়ার স্টেশন। গবেষকরা বিগত পাঁচ বছরে মোট ১০বার ঐ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ হিসেব করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রত্যেকটাকে ‘টপ ডাউন রিপোর্টিং’ বলা হয়। সেটার সাথে ঠিকঠাক খাপ খেয়ে গেছে ঐ শক্তিকেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা নিঃসরণের হিসেব। যেটাকে ‘বোটম আপ রিপোর্ট’ বলা হয়।
কানাডার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জের গবেষক রে নাসার বলছেন, ইউরোপের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো জনসমক্ষে বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের হিসেব প্রকাশ করে। এমনকি প্রতি ঘণ্টায় কত পরিমাণে শক্তি উৎপাদন হল সেটাও তারা জানায়।