রঙটা এত সাদা যে তাকালে চোখ ধাঁধিয়ে যায়! গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে সেই রঙ। পৃথিবীতে কোনও রঙ এর আগে এত সাদা হয়নি। এই রঙ দিয়ে
একটা বাড়ির পুরো ছাদ পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া যায়। মানে প্রায় এক হাজার বর্গফুট জায়গা। কিন্তু তাতে কী হবে? হবে এই, বাড়ির নীচের ঘরগুলি হবে একেবারে ঠাণ্ডা। কীরকম ঠাণ্ডা? ১০ কিলোওয়াটের এসি মেশিনে একটা ঘর যতটা ঠাণ্ডা হয়, সেরকম! দিনের আলোতেই ওই ঘরে সোয়েটার পরে থাকতে হতে পারে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। গৃহস্থের ঘরে আর এসি মেশিন বসানোর প্রয়োজন নেই! কারণ ১০ কিলোওয়াট এসি মেশিন কোনও গৃহস্থের ঘরেই প্রয়োজন হয় না।
গত সাত বছর ধরে গবেষণা চলছে এই নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় গবেষকদের অন্যতম যিনি, সেই জুলিন রুহান জানিয়েছেন, সাত বছর আগে গবেষণা শুরু হওয়ার সময় তাঁদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল এমন কিছু সৃষ্টি করতে হবে যাতে শুধু শক্তি সঞ্চয় নয়, যে দূষণের জন্য আবহাওয়ার অবিরাম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে তাকেও প্রতিরোধ করতে হবে। এসি মেশিন থেকে যে কৃত্রিম গ্যাস নির্গত হয় তাকে বন্ধ করার কোনও উপায় বার করতে পারলে আবহাওয়ার দূষণও অনেক কমে যাবে।
রুহান আরও জানিয়েছেন, এই রঙে ৯৮ শতাংশ সৌর বিকিরণ প্রতিফলিত হবে। যে পরিমাণ তাপ এই রঙে রাঙানো বাড়ির ছাদ শুষে নেবে, তাপ নির্গমন তার শতকরা এক ভাগ হবে বলে নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা! গবেষকরা জানিয়েছেন, এই রঙের ব্যাবহারে ঘর এসি মেশিনের চেয়েও ঠাণ্ডা থাকার মূল কারণ এর সঙ্গে বেরিয়াম সালফেট নামের একটি রাসায়নিক পর্দাথের মিশ্রণ। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য কীভাবে এই রঙকে বাজারে পৌঁছে দেওয়া যায়।