
নাসার ক্লাউড-ভিত্তিক সফটওয়্যার কনফ্লুয়েন্স (Confluence),পৃথিবীর নদী গুলিকে অধ্যয়ন করার নতুন পথ দেখিয়েছে। এটি জলবিজ্ঞানীদের পুরনো পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। এটি বিকশিত হয়েছে কলিনগ্লিসন এবং ৩০ জনেরও বেশি গবেষক দল দ্বারা। কনফ্লুয়েন্স, নাসার সারফেসওয়াটার অ্যান্ড ওশানটপোগ্রাফি (SWOT) মিশন এবং হারমোনাইজডল্যান্ডস্যাট সেন্টিনেল-২ আর্কাইভ (HLS) থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে নদী থেকে নির্গত বস্তু এবং জলে ভাসমান পলির পরিমাপ করে। ৫০ মিটার বা তার বেশী চওড়া নদীগুলির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর। আগে জলবিজ্ঞানবিদরা কেবল ৩,০০০টি নদী পরিমাপ স্টেশনের ওপর নির্ভর করতেন, যা দিয়ে নদীগুলির সার্বিকধরণ গুলি চিহ্নিত করা কঠিন ছিল। আমহার্স্টের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কলিনগ্লিসন উল্লেখ করেছেন যে,আগে নদী পরিদর্শন করা বা নদী পরিমাপ করা ছিল সর্বোত্তম পদ্ধতি। কনফ্লুয়েন্স একটি নতুন পদ্ধতির উদ্ভব ঘটিয়েছে,যা নদীর আকার এবং জলের গুণমান বিষয়ক মডেল খুব দ্রুত তৈরি করতে পারে। এটি পুরনো পদ্ধতি গুলির চেয়ে ৩০ গুণ দ্রুততর।
এই সফটওয়্যার, যার আয়োজক নাসার ফিজিক্যাল ও শেনোগ্রাফি ডিসট্রিবিউটেড অ্যাকটিভ আর্কাইভ সেন্টার (PO.DAAC) , সেটি সর্বজন ব্যবহার্য(ওপেন-সোর্স) এবং বিনামূল্যে লভ্য। নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির নিকিটে বালডি প্রকল্পটিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন অ্যালগরিদমকেক্লাউড-ভিত্তিক সিস্টেমে একত্রিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছিলেন। সহ-গবেষক সুরেশ ভান্নান বলেছেন, সময় থাকতে থাকতে নদী পরিবেশ এবং তুষার গলে যাওয়ার বিষয়গুলিকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে এবং সেক্ষেত্রে এই সফটওয়্যারটির পর্যাপ্ত গুরুত্ব রয়েছে।