প্রাচীন রোমে রাজারাজড়াদের আমোদের জন্যে মল্লযোদ্ধা থাকত। গ্ল্যাডিয়েটর বলা হত তাদের। এতদিন ধারণা ছিল সেটা কেবল মানুষই হতে পারে। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদরা অন্য গল্প খুঁজে পাচ্ছেন। ভালুকের মতো বড়ো জন্তুর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হত একপাল কুকুরকে, কিংবা তাদের দিয়ে করানো হত আক্রোব্যাটিক্স।
কিছুদিন আগেই ২০০০ বছরের পুরনো এই ঐতিহাসিক অ্যাম্ফিথিয়েটারে খননকাজ চালিয়েছিলেন গবেষকরা। উদ্দেশ্য ছিল এই স্থাপত্যের নীচে থাকা নালার সন্ধান করা। কিন্তু খুঁড়তে গিয়ে ডাক্সউন্ডের মতো ছোট কুকুরের দেহাবশেষ আবিষ্কার করে বসলেন প্রত্নগবেষকরা।
কলোসিয়ামের কর্ণধার আলফোন্সিনা রুশো বলছেন, এই কুকুরগুলোর উচ্চতা ৩০ সেন্টিমিটারের বেশি ছিল না। আক্রোব্যাটিক্সের নানা কায়দা দেখানোর জন্য এদের ব্যবহার করা হত। ঠিক আজকের দিনের সার্কাসের মতো। অথবা এমনটাও হতে পারে ভাল্লুক বা সিংহের মতো বড়ো জন্তুর সামনে নিক্ষেপ করা হত এই ছোট কুকুরদের। নিশ্চিতভাবে কিছুই বলছেন না রুশো।
‘ভেনাশিও’ নামের একপ্রকার বিনোদন প্রচলিত ছিল প্রাচীন রোমে। যেখানে নানান জন্তুকে একে অপরের বিরুদ্ধে ভিড়িয়ে দিয়ে সেই লড়াই উপভোগ করতেন দর্শকরা।
এই আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে এক বছর ধরে চলা গবেষণা থেকে। প্রত্নবিদের দল নালাপথের গভীরে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেছেন প্রায় ৭০ মিটার। খোঁজ মিলেছে একটা বিশাল নর্দমারও।