গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গতকারীদের তালিকায় সকলের ওপরে চিন। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৃতীয় স্থানে ভারত। সেই দেশের কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপিন্দার যাদব জানিয়ে দিলেন ‘জিরো কার্বন ডাই অক্সাইড নিগর্মন দেশের লক্ষ্য নয়! তাতে আবহাওয়া পরিবর্তন তথা বিশ্ব উষ্ণায়নের কোনও সমাধান হবে না! কারণ হিসেবে যাদব জানিয়েছেন, বিশ্বের প্রচুর দেশ এই লক্ষ্য নিয়ে অনেক বছর ধরেই কাজ করছে, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। যাদবের অভিযোগ বিশ্বের ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে। বলেছেন, ধনী দেশগুলো গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ে বরং তাদের ‘ঐতিহাসিক দায়িত্ব’ পালন করুক! ঐতিহাসিক দায়িত্ব মানে, ধনী দেশগুলো গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণে অগ্রণী ভূমিকা নিক, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তারা প্রয়োজনীয় অর্থ অনুদান দিক গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে।
মঙ্গলবারই সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে ভারতকেও অনেক কিছু করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য ‘অনেক কিছু’ মানে নতুন কয়েকটি লক্ষ্যপূরণের কথা ভাবছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক রামেশ্বর প্রসাদ গুপ্তের কথায়, “সব ভাবনাই এখনও টেবিলে রয়েছে।”
এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে রয়েছে পরিসংখ্যান। ১৮৫০-এর পর থেকে পৃথিবী জুড়ে মোট যে পরিমাণ গ্রীনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ হয়েছে তাতে ভারতের অবদান ৪ শতাংশ! তাই পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও আর্থিক অনুদান ছাড়াই ভারত নাকি তার বাতাসকে দূষণমুক্ত করার কাজে লক্ষ্যপূরণ করে ফেলেছে! যদিও পরিবেশমন্ত্রী বলতে পারেননি কয়লার ওপর দেশের নির্ভরশীলতা আদৌ কমবে কি না, জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন আদৌ কমানো যাবে কি না, পেট্রোল, ডিজেলের ব্যবহার, প্লাস্টিকের উৎপাদন আদৌ বন্ধ করা যাবে কি না!
পরিবেশমন্ত্রী নির্দিষ্টভাবে একটাই কথা জানিয়েছেন যে, ৩১ অক্টোবর থেকে গ্লাসগোয় শুরু হওয়া ক্লাইমেট সামিটে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!