কোয়েম্বত্তুরে জলাশয়ে প্রাণ ফিরিয়ে জলযোদ্ধা মণিকন্দন

কোয়েম্বত্তুরে জলাশয়ে প্রাণ ফিরিয়ে জলযোদ্ধা মণিকন্দন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১ এপ্রিল, ২০২২

আর. মণিকন্দন। এবছর ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৪ বছরের এই যুবককে দিচ্ছে ‘জলযোদ্ধা’ সম্মান। কোয়েম্বত্তুরের জলাশয়গুলো শুকিয়ে গিয়েছিল। তার ওপর প্লাস্টিকের স্তুপে তৈরি হয়েছিল প্রবল দূষণ। সেই অবস্থায় জলাশয়ে প্রাণ ফেরানোর অসাধ্যসাধন শুরু করেছিলেন মণিকন্দন পাঁচ বছর আগে। প্রথমে বানিয়েছিলেন প্রায় শ’খানেকের এক স্বেচ্ছাসেবকের দল। সেই দলে কে ছিলেন না! বাড়ির কাজের থেকে শুরু করে, গাড়িচালক, দিনমজুর, এমনকী প্রযুক্তিবিদরাও। প্রথমে মণিকান্দন জলাশয়গুলো থেকে প্লাস্টিকের ও অন্যান্য বর্জ্য তুলে জায়গাগুলোকে পরিষ্কার করেছিলেন। তারপরে বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত কয়েক লক্ষ গাছের চারা রোপণ করেছিল মণিকান্দনের দল। একদম শেষে, নদী থেকে খাল কেটে প্রত্যেকটি জলাশয়, হ্রদে জল ভরাটের ব্যবস্থা করা ছিল তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পুরো কাজটা সম্পন্ন করতে মণিকান্দনের খরচ হয়েছিল ১০ লক্ষেরও বেশি টাকা। রাজ্যের সাধারণ মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে এই টাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন মণিকান্দন। এর প্রতিফলন? ১৫ বছর পর, কোয়েম্বত্তুরের সমস্ত জলাশয়, বড় পুকুরগুলো জলে ভরে গিয়েছে। মিয়াওয়াকি পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি জলাশয়ের পাশে মণিকান্দন তৈরি করেছেন ছোট ছোট অরণ্য। যেখানে এখন বিভিন্ন রকমের পাখি ও প্রজাপতির মত ন্নাধরণের প্রাণীর অবাধ আনাগোনা।