গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী অণুজীবী কী করে আলোর অভাবে বাঁচে?

গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী অণুজীবী কী করে আলোর অভাবে বাঁচে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সমুদ্রের গভীরে অনুজীবীরা বেঁচে থাকার জন্য কীভাবে রসদ পায়, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই মানুষের কৌতূহল। মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এর ওপর গবেষণা করে তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। এটা আমদের গ্রহে প্রথম প্রাণের অস্তিত্ব কোথায় পাওয়া গিয়েছিল তাতেও আলোকপাত করেছে।
আগে মনে করা হত সামুদ্রিক অনুজীবী সূর্যের আলো থেকে সালোকসংশ্লেষ করে, আর সেটাই সামুদ্রিক অনুজীবীর বাঁচার রসদ। ভাবা হত শৈবালের মত অনুজীবীরা সূর্যালোক ব্যবহার করে জল ও কার্বনডাইঅক্সাইড থেকে খাদ্য হিসাবে জৈব অণু তৈরি করে। কিন্তু সূর্যের আলো সমুদ্রের অনেক গভীর অঞ্চল আছে যেখানে প্রবেশ করতে পারেনা, সেখানে শৈবালও থাকতে পারেনা, কিন্তু অনুজীবীরা থাকে।
পাঁচ বছর যাবত মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ রাসেল লাপ্পান এবং প্রফেসর ক্রিস গ্রিনউইং এ বিষয়ে গবেষণা করে দেখেছেন, অনুজীবীরা খাদ্য উৎপাদনের জন্য সালোকসংশ্লেষের পরিবর্তে রাসায়নিক সংশ্লেষ করে। গভীর সমুদ্রে রাসায়নিক সংশ্লেষে আলোর পরিবর্তে অজৈব যৌগিক পদার্থ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, হাইড্রোজেন ও কার্বন মনোক্সাইড এই দুটি সাধারণ গ্যাস।
প্রফেসর ক্রিস গ্রিনউইং জানিয়েছেন তারা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী কোটি কোটি অনুজীবী এভাবে রাসায়নিক সংশ্লেষ করে। হাইড্রোজেন ও কার্বন মনোক্সাইড থেকে তারা খাদ্য বানায়। নিরক্ষীয় অঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জে বা শহরের সমুদ্রোপকূলে কয়েকশো মিটার নীচে এমনকি অ্যান্টার্টিকার বরফের চাঙড়ের নীচেও অনুজীবীরা এভাবে খাদ্য বানিয়ে বেঁচে থাকে।