চাঁদে বিস্ফোরণের ছক আমেরিকার : প্রকাশ্যে গোয়েন্দা রিপোর্ট

চাঁদে বিস্ফোরণের ছক আমেরিকার : প্রকাশ্যে গোয়েন্দা রিপোর্ট

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৮ এপ্রিল, ২০২২

চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের পরিকল্পনা মার্কিন বিজ্ঞানীদের। প্রকাশ্যে এলো এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।

বিজ্ঞানের সঙ্গে সবুজের দূরত্ব মানুষের অভ্যাসে বাড়ছে অহরহ। প্রযুক্তির উন্নতিতে ধ্বংস হচ্ছে সবুজ। ডেকে আনছে মারণ দূষণ। বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। কিন্তু কিসে কী! – পৃথিবীর প্রভুদের কিচ্ছু এসে যায় না এসবে। আরো একবার সেকথাই প্রমাণিত হলো সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে। রিপোর্ট বলছে, চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের ছক ছিল।মার্কিন বিজ্ঞানীদের। যদিও সে পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয় নি। কিন্তু কেন এমন পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন বিজ্ঞানীরা? এই মিশনটি ছিল মার্কিন মুন মিশনের অন্তর্গত। এর পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অ্যাডভান্স অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম’। বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তির পরীক্ষা নীরিক্ষার কথা ভাবা হয়েছিল এই মিশনের জন্যে। তার মধ্যে রয়েছে- ইনভিজিবিলিটি ক্লোক, অ্যান্টিগ্র‍্যাভিটি ডিভাইস, ট্রাভার্সেবেল ওর্মহোলস এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদে টানেল তৈরি করা। যদিও বর্তমানে এই প্রোজেক্ট বা মিশন নিষ্ক্রিয়। কিন্তু কীভাবে এই তথ্য প্রকাশ্যে এলো? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যের স্বাধীনতার আইন বা ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী এক প্রাক্তন সেনেট সদস্য ঐ মিশনের বিষয়ে জানতে চান। এই আইনেই ১৬০০ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ্যে আসে। যার থেকে জানা যাচ্ছে একাধিক প্রযুক্তিগত পরীক্ষা নীরিক্ষার পরিকল্পনা ছিল। যার মধ্যে অন্যতম হলো পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদে টানেল তৈরি করা। জানা গেছে অ্যাডভান্স অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম একটি গোপন সংস্থা। এদের সম্পর্কে প্রথম জানা যায় ২০১৭ সালে। প্রশ্ন হচ্ছে চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের মতো মিশন কীভাবে গোপনে সংঘটিত হতে পারে? যে কাজের জন্যে আন্তর্জাতিক অনুমতির প্রয়োজন হয়।