চোখ পিটপিটে ঘুম ভেতর থেকে শক্তি জোগায় মগজকে

চোখ পিটপিটে ঘুম ভেতর থেকে শক্তি জোগায় মগজকে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট (রেম) শ্লিপ। অর্থাৎ যে ঘুমে ঘনঘন চোখের তারা ঘুরতে থাকে। স্বপ্ন ভালো কি খারাপ হয় এই ধরনের ঘুমের সময়, তা অবশ্য বলছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে প্রয়োজনীয় তাপ নিশ্চিতভাবেই পেয়ে থাকে আমাদের মস্তিষ্ক।

সাধারণভাবে, উষ্ণরক্তের প্রাণীদের দেহতাপ যদি কমের দিকে হয় তাহলে রেম-ঘুমের সময় বাড়ে। কিন্তু দেহের তাপ যেসব প্রাণীর বেশি, তাদের এই ঘুম বেশি লাগে না।

বিশ্বশ্রুত ল্যান্সেট পত্রিকায় এমনই এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল সম্প্রতি। প্রাণীদের দেহতাপের সাথে ঘুমের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত জেরম সিজেল। উনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলস ক্যাম্পাসের স্নায়ুবিজ্ঞানী। নিদ্রা বিশারদ হিসেবেও ওনার খ্যাতি জগৎজোড়া।

স্বাভাবিক গাঢ় ঘুমের পরেই আসে এই ধরনের রেম শ্লিপ। যেখানে আমাদের মগজ বেশ সক্রিয় থাকে। ফলে ঐ অঙ্গের তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়ে যায়। নন-রেম ঘুমের সময় দেহের বিপাকক্রিয়া সর্বনিম্ন থাকায় শরীরের ও মগজের উষ্ণতা অনেকটাই কম থাকে। প্রোফেসর সিজেলের মতে, রেম-ঘুম শরীরের শক্তির ঘাটতি পূরণ করার কাজ করে থাকে। তারপর ঘুম ভাঙার সময়ে যতটুকু দেহতাপের দরকার হয়, ততখানিই রেম-ঘুমের প্রয়োজন।

উল্টোদিকে, অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন দেহের জন্যে ক্ষতিকর বর্জ্য দূর করতে চোখ পিটপিটে ঘুম আবশ্যক। আর, সাধারণ ঘুম স্মৃতি বা শিক্ষায় সাহায্য করে। কিন্তু দেখা গেছে স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে আগে সাধারণ ঘুম আসে, তারপর রেম শ্লিপ। অর্থাৎ, টক্সিন পরিষ্কার হলেই নিজের ছন্দে ফিরে আসে আমাদের মগজ। পরিযায়ী পাখীদের মধ্যেই রেম-ঘুমের নজির খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।