চড়ুই পাখির মগজ বলে অপমান করলে রাগ করার কারণ নেই

চড়ুই পাখির মগজ বলে অপমান করলে রাগ করার কারণ নেই

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

স্তন্যপায়ীদের তুলনায় পাখীদের মস্তিষ্কে বেশি সংখ্যায় নিউরোন থাকে। এ তথ্য নতুন নয়। ২০১৬ সাল থেকেই বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, একই আয়তনের মগজে পাখীদের ক্ষেত্রে নিউরোনের ঠাসবুনট বেশি সুচারু, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের তুলনায়। অর্থাৎ ছোট মাথাতেও দিব্বি বুদ্ধি ধরে পাখীরা। কিন্তু রহস্য একটা ছিলই – বাড়তি স্নায়ুকোষের শক্তি তারা যোগায় কোত্থেকে?

এই ধাঁধাঁর উত্তর খুঁজতে জার্মানির রুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক চালিয়েছিলেন ছানবিন। পায়রার দেহে কীভাবে শর্করা পরিপাক হয়, কত তাড়াতাড়ি এই বিপাকক্রিয়া কাজ করে আর কত পরিমাণে শর্করা ব্যবহার হয় তাদের শরীরে? এই ছিল বিজ্ঞানীদের মূল প্রশ্ন। পরীক্ষার ফলাফলে অবাক হয়ে গেছেন গবেষক দল।

খুব অল্প পরিমাণ শর্করা ব্যবহার করেই নাকি পায়রারা তাদের স্নায়ুকোষকে শক্তি দিতে সক্ষম। এমনকি জেগে থাকার সময়েও। স্তন্যপায়ীদের তুলনায় যা তিনগুণ কম। মাথায় রাখতে হবে স্তন্যপায়ী প্রাণীর দলে মানুষও পড়ে। অথচ মগজের কাজকর্মে তেমন আপোষ না করেই এতগুলো নিউরোনকে পাখীরা অনায়াসে চাঙ্গা রাখতে পারে। এমনই জানিয়েছেন, অন্যতম গবেষক কায়া ভন ইউজেন।

প্রফেসর ইউজেন রুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। ওনার মতে ছোট আকারের স্নায়ুকোষ, উচ্চ দেহতাপ আর মগজের বিশেষ গঠনের জন্যেই সুবিধে পায় পাখীরা। বিবর্তনের ধারায় যদিও স্তন্যপায়ীদের সাথে তাদের বিস্তর ফারাক।