জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সার্ভাভ্যাক প্রস্তুত

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সার্ভাভ্যাক প্রস্তুত

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বৈজ্ঞানিকভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে সার্ভাভ্যাক তৈরির প্রক্রিয়া। এমনটাই জানালেন সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্ণধার আদর পুনেওয়ালা। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকা অভিযান ভারত সরকার শুরু করবে কয়েক মাসের মধ্যেই। এই ভ্যাকসিনের দাম নাগালের ভেতরেই থাকবে বলে মনে করছেন তিনি।

জরায়ুর আগায় সারভিক্স বলে একটা অংশ আছে। হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস বা সংক্ষেপে এইচ পি ভি-র আক্রমণে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে এই সারভিক্স অংশে। প্রতি বছর ভারতে ১ লাখ ২৫ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। ৭৫ হাজার আক্রান্তের মৃত্যু ঘটে ফি বছর, যা সারা পৃথিবীতে পাঁচভাগের এক ভাগ। ভাইরাসটার ১৬, ১৮, ৬ আর ১১ নম্বরের স্ট্রেনই মূলত এই ক্যান্সারের জন্যে দায়ী। তার মধ্যে এইচ পি ভি – ১৬ আর ১৮ থেকেই রোগের ৮৩% সম্ভাবনা ভারতের ক্ষেত্রে।

ভারত সরকারের জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের সহায়তায় পুণের সিরাম ইন্সটিটিউটে সার্ভাভ্যাক নামের টিকা তৈরি হয়েছে। ভাইরাসের মুখ্য চারটে ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই কাজ করবে সার্ভাভ্যাক। দাম পড়তে পারে ২০০ থেকে ৪০০ টাকার ভেতর।

গত জুলাই মাসের দেশের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা টিকার জন্যে ছাড়পত্র দেয়। তার আগে অবশ্যই বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ভ্যাকসিনটাকে। তেরোটা কেন্দ্রে দফায় দফায় ট্রায়ালের পর তবেই মিলেছে সবুজ সংকেত। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্য টিকাগুলোর মধ্যে মার্কের গার্ডাসিল ভ্যাকসিনই বহুল প্রচলিত। ট্রায়ালের চলাকালীন এই টিকার সাথেই তুলনা করে দেখা হয়েছে সার্ভাভ্যাকের ক্ষমতা।

সারভাইক্যাল ক্যান্সার ঠেকাতে যে টিকা বাজারে চলছে তাদের দাম মোটামুটি ২৫০০ থেকে ৩৩০০ টাকা প্রতি ডোজ। সেখানে অবশ্যই আশার আলো হয়ে উঠতে পারে ভারতে তৈরি সার্ভাভ্যাক। আদর পুনেওয়ালা বলছেন আগামী দু বছরের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী প্রয়োগ শুরু করার লক্ষ্য রেখেছে সিরাম ইন্সটিটিউট।