জলবায়ু বদলের চাপ সুমেরুর নদীখাতে

জলবায়ু বদলের চাপ সুমেরুর নদীখাতে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৯ জুন, ২০২৩

কানাডা বা আলাস্কার মতো দেশ সুমেরু বৃত্তের মধ্যে আসে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটা দল স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন যে পৃথিবীর উত্তর প্রান্ত তেতে উঠেছে ভীষণ। সৌজন্যে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন। উষ্ণায়নের কোপটা গিয়ে পড়েছে নদীস্রোতের উপর। বিজ্ঞানীরা যতটা প্রত্যাশা করেছিলেন, সেইভাবে নদীগুলো বইছে না।
সুমেরু অঞ্চলের মাটি আমাদের এখানকার মতো নয়। পাতলা বরফের একটা স্তর সবসময়েই মাটির সাথে মিশে থাকে সেখানে। ভূগোলের ভাষায় বলে পার্মাফ্রস্ট, অর্থাৎ স্থায়ী তুষারস্তর। এই ধরনের বিশেষ ভূভাগের উপর বয়ে যাওয়া নদীর চরিত্রও পৃথক। কিন্তু জলবায়ুর ভোলবদলে নদীর গতিও পাল্টে গেছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ আলেসান্দ্রো লেলপি এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেচার পত্রিকার ক্লাইমেট চেঞ্জ বিভাগে প্রকাশিত হল এই গবেষণাপত্র। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ ম্যাথিউ ল্যাপোত্রে আর ইতালির পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ আলভাইস ফিনোত্তেলো এই গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন।
ডঃ লেলপি বলছেন, সুমেরুর মধ্যে জলবায়ুর বৈষম্য আছে, সেটা আমরা দেখেছি। সুমেরুর পশ্চিমের এলাকাটায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণতার ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে। পার্মাফ্রস্ট যখন গলতে শুরু করেছে, বিজ্ঞানীরা আগেভাগেই আশঙ্কা করেছিলেন নদীগুলোর স্থায়িত্ব বিঘ্নিত হবে। নদীর পাড়ের মাটি যেহেতু দুর্বল, তাই নদীখাত দ্রুত তাদের অবস্থান বদল করবে। আর নদীপথ পাল্টে গেলে বাস্তুতন্ত্র আর জনজীবন দুটোই বিপদে পড়বে।