দু বছর ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞান-গবেষণা সংস্থা, আর আবহাওয়া দপ্তর যৌথভাবে একটা জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন কিছুদিন আগেই সামনে এনেছে ও দেশের সরকার। তাতে খুবই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জলবায়ু সংকট আর ভবিষ্যতের বিপদ নয় বরং সেটা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
প্রধান কোন কোন নতুন তথ্য উঠে এসেছে এবারের রিপোর্টে? অস্ট্রেলিয়ার গড় তাপমাত্রা ১৯১০ সাল থেকে হিসেব করলে ১.৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে সামান্যই কম।
পিছিয়ে নেই সমুদ্রের জলের উষ্ণতাও। ১৯০০ সাল থেকে তথ্য ধরলে গড়ে ১.০৫ ডিগ্রি বেড়েছে। তাতে চরম তাপপ্রবাহের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে চলেছে। সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। উপকূলের মনুষ্যবসতি আর বাড়িঘর রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ার বা নষ্ট হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশমন্ত্রী তানিয়া প্লিবারসেক। সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞানমন্ত্রী এড হাসিক। রিপোর্ট পড়ার সময়টাকে থমথমে বলে উল্লেখ করেছেন ঐ দুজন মন্ত্রী। বাড়তে থাকা গ্রিনহাউস গ্যাস এই জলবায়ু সংকটের মূল কালপ্রিট। কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব প্রাক-শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ৫০% বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৪১৪.৪ পিপিএমে!