গ্লাসগোয় আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সামিট শুরু হওয়ার আগে রাষ্ট্রনেতাদের কাছে এটা স্বস্তির খবর হতে পারে। গত এক দশকে বিশ্বজুড়ে নজরকাড়া ‘ক্লিন এনার্জির’ ব্যবহার হয়েছে! চলতি দশোকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার তুঙ্গে পৌঁছবে, তারপর থেকে সেটা দ্রুতহারে কমতে থাকবে! ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি নামের এক সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে এই খবর। এই এজেন্সির ভবিষ্যৎবাণী, ২০৫০-এর মধ্যে পৃথিবী থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না থাকার মত অবস্থায় পৌঁছে যাবে! নচিকেতার সেই গানের লাইনের মত, ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে…..পৃথিবী আবার শান্ত হবে’!
এই এজেন্সির ডিরেক্টর ফেথ বাইরল অবশ্য আশাবাদ সৃষ্টির পাশাপাশি বাস্তবের কথাও শুনিয়ে রেখেছেন। বলেছেন, “ক্লিন এনার্জি ব্যবহারে বিভিন্ন দেশগুলোর আরও অনেককিছু করার আছে। কয়লা, তেল, ন্যাচারাল গ্যাস থেকে ক্লিন এনার্জিতে উত্তরণটা যত তাড়াতাড়ি হওয়ার কথা ছিল, হয়নি। বিশ্ব উষ্ণায়ন বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। দেশগুলো যদি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে কড়া ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী কয়েক বছরে উষ্ণায়ন আরও বাড়বে।” এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবী জুড়ে উইন্ড টারবাইন এবং সোলার প্যানেলের ব্যবহার যেমন বেড়েছে তার পাশাপাশি গত বছর বিশ্বজুড়ে গাড়ি বিক্রির হার সর্বোচ্চ! আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বার করে এরকম যন্ত্রের দাম বাড়িয়ে দিতে। এজেন্সি তার রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারত সরকারও এয়ার-কন্ডিশনার তৈরির ক্ষেত্রে এফিশিয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ড বেঁধে দিয়েছে।
তবে রিপোর্টের শেষ অংশে এজেন্সির জানানো কথাটাই রাষ্ট্রনেতাদের মনে রাখা উচিত গ্লাসগো সম্মেলনে বসার আগে। ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা কিন্তু ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে! পরিস্থিতি তখন কোথায় যেতে পারে, রাষ্ট্রনেতারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন!