জ্বালানী হাইড্রোজেনের ঝুঁকি কমাবে অতিসংবেদী অপটিক্যাল সেন্সর

জ্বালানী হাইড্রোজেনের ঝুঁকি কমাবে অতিসংবেদী অপটিক্যাল সেন্সর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১ ডিসেম্বর, ২০২২

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়, এমন জ্বালানী হিসেবে হাইড্রোজেনের কদর বাড়ছে গোটা পৃথিবী জুড়েই। কিন্তু কাঁটা আছে সেখানেও। বাতাসের সংস্পর্শে এলেই হাইড্রোজেন গ্যাস জ্বলে ওঠে, বিস্ফোরক হয়। তাই উৎপাদন এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথায় গ্যাস লিক হচ্ছে, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধরতে পারা যায় ততই ক্ষতির বহরটা কমবে।
চামাজ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, অ্যামস্টারডামের ভ্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইন্দোভেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একটা অপটিক্যাল সেন্সর তৈরি করলেন। অতি সামান্য মাত্রার হাইড্রোজেনও শনাক্ত করতে পারবে এই সেন্সর। নেচার কমিউনিকেশনে একটা নিবন্ধে বেরিয়েছে আবিষ্কারের খবরটা।
চামাজের অধ্যাপক ক্রিস্টোফ ল্যাঙহ্যামার বলছেন, হাইড্রোজেন ব্যবহার ও সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব রাখে নিরাপত্তার বিষয়টা। যত দ্রুত লিক শনাক্ত করে মেরামত করে নেওয়া যায়, ততই ভালো।
উন্নতমানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। গ্যাসের কণাগুলো একে অপরের থেকে কতটা দূরে আছে, তাদের ব্যাস কত আর কতটা পুরু তারা – এই বিষয়গুলো জানা থাকলে কণাদের মধ্যেকার অপটিক্যাল ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া বোঝা যায়। তারপর কোনও কারণে গ্যাসের ঘনত্ব সামান্য পরিবর্তন হলেই ধরে ফেলা যাবে গড়বড়টা। এক শতাংশের একলক্ষ ভাগের একভাগও যদি এদিকওদিক হয়, তাহলেই সেন্সর জানিয়ে দেবে।
আলোকবিজ্ঞানের প্লাসমোনস নামের একটা বিশেষ ঘটনার উপর দাঁড়িয়ে আছে এই সেন্সরের কাজকর্ম। যখন ধাতব ন্যানোপার্টিকেল আলোর সংস্পর্শে আসে, তখন আলো শোষণ করে তাদের একটা নির্দিষ্ট রঙ তৈরি হয়। ঐ ন্যানোপার্টিকেল যদি প্যালাডিয়াম ধাতুর হয়, তাহলে আশেপাশে হাইড্রোজেন গ্যাসের পরিমাণে সামান্য বদল ঘটলেই ন্যানোকণার রঙ পাল্টে যায়। তখনই সেন্সরে ধরা পড়ে সেটা।