টাইম বোমের কাজ করবে পৃথিবীর অবশিষ্ট জীবাশ্ম জ্বালানী

টাইম বোমের কাজ করবে পৃথিবীর অবশিষ্ট জীবাশ্ম জ্বালানী

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এখনও অনেকটাই ফুরতে বাকি বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানীর অবশিষ্ট ভাণ্ডার। ৩.৫ ট্রিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি হতে পারে। যা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাতগুন বেশি। হাইড্রোকার্বন নিয়ে জনস্বার্থে এই প্রথম এক তালিকা প্রকাশিত হল গত সোমবার।

শিল্পবিপ্লবের যুগ থেকে শুরু করে আজ অবধি যথেচ্ছ ব্যবহার হয়ে এসেছে কয়লা, খনিজ তেল বা প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো প্রচলিত জ্বালানীগুলো। তাতেই নাভিশ্বাস উঠেছে পরিবেশের। ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তপমাত্রা বেড়েছে এতদিনে। সাথে খরা, বন্যা বা ঝড়ঝঞ্ঝার মতো বিপদ তো আছেই।

সমস্যার সুরাহা খুঁজতে বিজ্ঞানীরা কার্বন বাজেট নামক এক সূচক তৈরি করেছিলেন। প্যারিস পরিবেশ চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণতা বৃদ্ধির হারকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে কার্বন দূষণের মাত্রা কতটা কম রাখা যায়, সেটাই কার্বন বাজেট। হিসেব বলছে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কোনও মতেই ৩৬০ বিলিয়ন টনের বেশি গেলে চলবে না।

৮৯টা দেশের পঞ্চাশ হাজার জ্বালানী ক্ষেত্রের খতিয়ান বলছে, যতটা কার্বন নিঃসরণের সুযোগ আছে তাতে ফুৎকারে উড়ে যাবে কার্বন বাজেটের নিষেধাজ্ঞা। যেমন, কেবলমাত্র আমেরিকার কয়লাক্ষেত্র থেকেই ৫২০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবেশে মিশতে পারে। সব দেশের হিসেব যোগ করলে, ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাজেটের ৭গুন বেশি দূষণের সম্ভাবনা।

ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশান চুক্তির সহকারী কর্ণধার রেবেকা বির্নেস বলছেন, কার্বন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে কিন্তু আমাদের হাতে সময় খুবই অল্প।