টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাত স্বাভাবিক ছিল না, বাড়তে পারে পৃথিবীর উষ্ণতা

টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাত স্বাভাবিক ছিল না, বাড়তে পারে পৃথিবীর উষ্ণতা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নিউজিল্যান্ডের উত্তরদ্বীপ থেকেও ১১০০ কিলোমিটার দূরে টোঙ্গা আগ্নেয়গিরি। পুরো নাম হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’পাই। সমদ্রের গভীরে এই আগ্নেয় পর্বতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটেছিল গত জানুয়ারি মাসে। কয়েক লক্ষ টন জলীয় বাষ্প আগুনের ফুলকির মতো ছিটকে পড়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের অঞ্চলে ছড়িয়ে যায়। সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে টোঙ্গা বিস্ফোরণের আরও খুঁটিনাটি গবেষণা।

শান্তমণ্ডল আকাশের দ্বিতীয় স্তর। বাতাসের ঐ স্তরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে ৫ শতাংশ। সেই বাড়তি জলকণা কীভাবে পরিবেশের সাথে সাথে পৃথিবীর উপরিতলের তাপমাত্রা একধাক্কায় বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে সামনের কয়েক বছরে। এমনটাই বলছেন গবেষণাপত্রের মুখ্য আহ্বায়ক হোলগার ভোমেল। উনি কলোরাডোর ন্যাশানাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চের বিজ্ঞানী।

সাস্ক্যাটচেয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু গবেষক ম্যাথিউ টুহের মতে, বিশাল অগ্ন্যুৎপাতে পরিমণ্ডল ঠাণ্ডা হওয়ার কথা। ভলকানো থেকে লাভা উদ্গিরনের সময় প্রচুর পরিমাণে সালফারও বের হয়, যা সূর্যরশ্মিকে খানিকটা হলেও প্রতিহত করতে সক্ষম। যেহেতু টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাত সমুদ্রের নীচে হয়েছিল, তাই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি জলও ছিটকে ওঠে বিস্ফোরণে। আবার, জলীয় বাষ্প ঠিক গ্রিনহাউস গ্যাসের মতো আচরণ করে থাকে। অর্থাৎ তাপ শোষণ করে। ফলে টোঙ্গার দুর্বিপাকে তাপমাত্রা কমবে না, বরং বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা আর পাঁচটার মতো নয়। সতর্ক করে প্রোফেসর ভোমেল বলছেন এর প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী।